কোথাও রাস্তায় টেবিল পেতে চাঁদা আদায়, কোথাও রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে একদল যুবক। ট্রাক বা মালবাহী গাড়ি দেখলেই আটকে দিচ্ছে তাঁরা। তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে টাকা মিললে ছাড় পাচ্ছে গাড়ি। না হলে রাস্তার ধারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রেখে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোচবিহার জেলার সিতাই থেকে তুফানগঞ্জ। অনেক জায়গাতেই পুজোর চাঁদার জুলুম চলছে বলে অভিযোগ। তুফানগঞ্জ রোডে দুটি জায়গায় জুলুম ক্রমশ বাড়ছে বলে অভিযোগ পৌঁছেছে পুলিশ সুপারের কাছেও। কোচবিহার জেলা ট্রাক মালিক সমিতির অভিযোগ, সেখানে লাঠি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “চাঁদার জুলুমের অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ঘোকসাডাঙ্গায় চাঁদার জুলুমের অভিযোগে একটি নিদিষ্ট মামলা দায়ের করা হয়। তুফানগঞ্জে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় এক হাজারের বেশি দুর্গাপুজো হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে প্রতি বছর চাঁদা নিয়ে জুলুমের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ দু-একজনকে গ্রেফতার করলেও পরিস্থিতি পাল্টায় না বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। এবারও বিশ্বকর্মা পুজর কয়েকদিন আগে থেকে চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি চরমে অভিযোগ ওঠে বলে অভিযোগ। কোচবিহার জেলা ট্রাক মালিক সমিতির অভিযোগ, তুফানগঞ্জ রোডে দেওচড়াই মোড় এবং নাঙ্গল গ্রামে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাঁদার জুলুম চলছে। বিশ্বকর্মা ও দুর্গাপুজোর চাঁদা একযোগে তোলার ঘটনাও রয়েছে। সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা কমিটির সদস্যরা চাঁদা তুলছে। একেকটি গাড়ির কাছ থেকে ৩০, ৪০, ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্জন্ত জোর করে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ট্রাক মালিকদের একাংশের অভিযোগ, আদায়কারীরা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। কোথাও সরাসরি তাঁরা শাসক দলের নেতাদের একাংশের নাম করছেন। কোথাও শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, সে জন্য পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে সমিতি। |