ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। প্রথমের দিকে সামান্য জ্বর হলেও কেউ কোনও গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। ফলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরেও তেমন তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়নি। এবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরই জানাতে পেরেছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গত কয়েকদিনে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর শরীরে ডেঙ্গি রয়েছে। সবাই যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এমন নয়। অনেকেই কলকাতায় চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ বা বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাচ্ছেন। ফলে সঠিক পরিসংখ্যান এখনও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আসেনি। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশ বেরা বলেন, “এখনও পর্যন্ত ১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। যাতে ডেঙ্গি ছড়াতে না পারে তার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে।”
মশাবাহিত এই রোগ দমনে স্বাস্থ্য দফতরের দাওয়াই, মশারি টাঙিয়ে শুতে হবে, যাতে মশা না কামড়াতে পারে। আর জমা জল রাখা যাবে না। তা বাড়ির ফ্রিজেই হোক বা কোনও গর্তে, ডাবের খোলা হোক বা টবে। পরিষ্কার জমা জল পেলেই সেখানেই জন্ম নেয় এডিস ইজিপ্টাই। যে মশা ডেঙ্গির জীবাণু বহন করে। তাই কোথাও জমা জল থাকলেই তা সরিয়ে ফেলতে বলা হচ্ছে। আর জ্বর, সঙ্গে চোখে ব্যাথা হলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ৫ দিন পরেও জ্বর না ছাড়লে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে কেউ যেন অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ না খান। স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ অবশ্য প্যারাসিটামল খেতে হবে। অ্যাসপিরিন নয়। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কোন এলাকায় জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে সে ব্যাপারে নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রতিটি এলাকা সম্বন্ধেই স্বাস্থ্যকর্মীদের খোঁজ রাখতে বলা হচ্ছে। যদি একজনেরও টানা কয়েকদিন ধরে জ্বর না ছাড়ে তা হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা
করতে বলা হয়েছে। আর যদি একজন থেকে তা একাধিক ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে স্বাস্থ্য দফতর ‘টিম’ পাঠিয়ে তার মোকাবিলা হবে বলে জানান সিএমওএইচ। প্রাথমিক ভাবে খড়্গপুর-১, গড়বেতা-১, ডেবরা, মেদিনীপুর সদর ও ঝাড়গ্রামএই পাঁচটি ব্লক মিলিয়ে ১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে। খড়্গপুর-১ ব্লকের মোহনপুর অঞ্চলে এই রোগ ছড়িয়েছে।
পুরসভা বা পঞ্চায়েতগুলি মশা মারার জন্য কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? স্বাস্থ্য দফতর কী কোনও পদক্ষেপ করেছে? না পুর-কর্তৃপক্ষ, না স্বাস্থা দফতরইতিবাচক উত্তর মেলেনি কারও কাছেই। |