রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘শিশু সাথী’ প্রকল্পে হৃদরোগের সমস্যার পাশাপাশি গন্নাকাটা বা যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী ঠোঁট ও তালু কাটা নিয়ে জন্মেছেন, তাদেরও চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় ভার নিচ্ছে সরকার। ২৬ অগস্ট স্বাস্থ্যভবন থেকে বিভিন্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়ে এমনই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল রুর্যাল হেল্থ মিশনের অধীনে রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় এ বছরের এপ্রিল মাস থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় শিশু সাথী প্রকল্প চালু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক অজয় চক্রবর্তী বলেন, “ওই শিশু সাথী প্রকল্পের অধীনে এত দিন কার্ডিয়াক সার্জারি বা ঠোঁট ও তালু কাটা ছাত্রছাত্রীদের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনও অর্থব্যয় করত না। জন্মগত শারীরিক ত্রুটি রয়েছে এমন শিশুদের চিকিৎসার পাশাপাশি জন্মের পরে তাদের জটিল কোনও অসুখ হলে তবেই সরকারের তরফে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হত।” এখন থেকে ওই প্রকল্পের আওতায় হৃদরোগের জটিল অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি ঠোঁট ও তালু কাটা রয়েছে, এমন শিশুদের নিখরচায় অস্ত্রোপচারের বন্দোবস্ত করবে সরকার। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পের আওতায় সদ্যোজাত শিশু থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের বিনা খরচে চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে। খরচ যাই হোক না কেন তার দায় সরকারের। এ জন্য ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এবং ৬-১৮ বছর পর্যন্ত বয়সীদের দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি ব্লকে ‘মোবাইল হেল্থ টিম’ থাকবে। ওই দলে দুজন আয়ুষ (আয়ুর্বেদিক, ইউনানি, যোগা, সিদ্ধা, হোমিওপ্যাথী) চিকিৎসক, এক জন ফার্মাসিস্ট ও এক জন নার্স। তাঁরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ বছর বয়সীদের শারীরিক পর্যবেক্ষণ করবেন। সেই সঙ্গে ৬-১৮ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে ‘স্কুল হেল্থ টিম’ গিয়ে তাদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। |