|
|
|
|
গোর্খাল্যান্ড প্রশ্নে বিতর্ক চাই, ফব-র ভিন্ন অবস্থান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের প্রশ্নে এ বার বামফ্রন্টের মধ্যেই ঈষৎ ভিন্ন অবস্থান নিল ফরওয়ার্ড ব্লক। আলাদা তেলঙ্গানা রাজ্য তৈরির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সমর্থন এবং নতুন বিদর্ভ রাজ্যের দাবি তোলার পাশাপাশিই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আরও বিতর্ক চাইছে তারা। তার জন্য রাজ্যে কনভেনশন ডেকে আলোচনার পক্ষপাতী এই বাম শরিক। কেন্দ্রীয় স্তরে দ্বিতীয় বার রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (এসআরসি) গড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবির নিষ্পত্তির ভার তাদের দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে ফ ব-র তরফে।
সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের আর কোনও শরিক দলই এখনও পর্যন্ত গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে দাঁড়ায়নি। এমনকী, সিপিআই অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা তৈরির পক্ষপাতী হলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে দার্জিলিংকে আলাদা করার পক্ষপাতী নয়। কিন্তু দলে আসন্ন পার্টি কংগ্রেসে পেশ করার জন্য ফ ব-র রাজ্য নেতৃত্ব যে রিপোর্ট তৈরি করছেন, তাতে গোর্খাল্যান্ড-প্রশ্নে তাঁদের সুর একটু ভিন্ন। তাঁদের মতে, পাহাড়ের মানুষ কিছু আশা-আকাঙ্খা নিয়েই আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছেন। সেই ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলনও হয়ে আসছে। পাহাড়ের বিষয়টিকে স্রেফ আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসাবে না দেখে এই নিয়ে বৃহত্তর বিতর্ক হওয়া উচিত। পার্টি কংগ্রেসে এই বিতর্ক এবং এসআরসি-র কাছে দাবি বিবেচনার জন্য পাঠানোর প্রস্তাবে সিলমোহর আদায় করে আনতে চাইছেন ফ ব-র রাজ্য নেতৃত্ব।
চেন্নাইয়ে ২২-২৬ সেপ্টেম্বর বসছে ফ ব-র ১৭তম পার্টি কংগ্রেস। মোট সাতশো প্রতিনিধির মধ্যে এ রাজ্য থেকেই যোগ দিচ্ছেন সাড়ে তিনশো জন। পার্টি কংগ্রেসের জন্য দলের সাধারণ সম্পাদকের খসড়া রাজনৈতিক রিপোর্টেই ছোট ছোট রাজ্যের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ফ ব। দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসাবে তেলঙ্গানা রাজ্য তৈরির ঘোষণাকে সেখানে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিদর্ভের দাবিতে সরব হয়েছে দল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ফজল আলির নেতৃত্বাধীন প্রথম এসআরসি সেই ১৯৫৬ সালেই আলাদা বিদর্ভের কথা বলেছিল’। ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কারণেই ওই সুপারিশ কার্যকর হওয়া উচিত বলে ফ ব মনে করছে। তাদের আরও বক্তব্য, ছোট রাজ্যের জন্য অনেক অযৌক্তিক ও অন্যায্য দাবিও উঠছে। সেই জন্যই ফের কমিশন গড়ে এই সব দাবির ফয়সালা হওয়া উচিত। |
|
|
|
|
|