বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি থাকায় কর্মী মেলেনি। তাই দু’দিন বিদ্যুৎহীনতার অন্ধকারে ডুবে রইল নবদ্বীপের চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির। শুধু তাই নয় মন্দির সংলগ্ন পুরসভার ২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ বাড়ি, শতাধিক দোকান-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার দোকানপাটও বিদ্যুৎহীন রইল। নবদ্বীপের তিনশো বছরের প্রাচীন মহাপ্রভু মন্দিরে রয়েছে পাঁচশো বছরের বেশি পুরনো মহাপ্রভুর বিগ্রহ-সহ নানা দ্রব্য। অন্ধকারে তা পাহারা দিতে ভরসা ছিল কেবল মোমবাতি আর টর্চই। প্রশ্ন উঠেছে মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়েও।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ দফতরে জানানো সত্ত্বে কোনও সাড়া মেলেনি। বৃহস্পতিবার পুরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং এলাকার মানুষ স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালে নড়ে বসেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, “মঙ্গলবার বেলা দশটা থেকে বিদ্যুৎ ছিল না। পরে জানা গেল, শহরের একটা অংশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে। তারপর বারবার বহরমপুর এবং নবদ্বীপ বিদ্যুৎ দফতরে যোগাযোগ করা হলে কোনও সাহায্য মেলেনি।” স্থানীয় পুরপিতা শচীন্দ্র বসাক বলেন, “এলাকাবাসী বিদ্যুৎ দফতরে গিয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নবদ্বীপ মহাপ্রভু মন্দিরের পরিচালন সমিতি তথা বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ গোস্বামী বলেন, “মহাপ্রভুর মন্দিরে বিদ্যুৎ নেই। নিরাপত্তার বিষয়টিই ভাবাচ্ছে আমাদের।” নবদ্বীপ বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের আধিকারিক সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার ট্রান্সফর্মারটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য দু’দিন লোক পাওয়া যায়নি। কাজ শুরু হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। |