স্কুল কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই এক পার্শ্ব শিক্ষক মাস নয়েক ধরে স্কুলে আসেননি। পুনরায় তিনি চাকরিতে যোগ দিতে চেয়ে সর্বশিক্ষা মিশনের দ্বারস্থ হন। বুধবার মিশনের কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্কুলে এলে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। অভিযোগ, ওই কাজিয়ায় আক্রান্ত হন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বৈদ্য। ওই ঝামেলার জেরে বৃহস্পতিবার দীঘা-পাটপুকুর প্রাথমিক স্কুল ছুটি হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক বলেন, “একদল গ্রামবাসীর মারে আমি অসুস্থ। তাই এ দিন স্কুলে যাইনি। অন্যান্য শিক্ষকরাও স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছেন। এতে পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে।” সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সুমি বিশ্বাস বলেন, “ওই স্কুলের এক শিক্ষক অনেক দিন ধরে অনুপস্থিত। বিষয়টি তদন্ত করতে আমাদের কর্মীরা স্কুলে যান। তারপর কী ঘটেছিল, তদন্ত রিপোর্ট হাতে না এলে বলা অসম্ভব।” |
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক তোফাজ্জেল মণ্ডল ২০১০ সালে স্কুলেরই পার্শ্বশিক্ষিকা উম্মে সালমা আহামাদিকে বিয়ে করেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে শরিয়তি আইন মোতাবেক তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তারপর থেকেই তোফাজ্জেল স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। চলতি বছরের ২৮ মে গ্রামের কিছু লোক সালিশি সভা করে তোফাজ্জেলের জরিমানা করে। এরপরই তিনি পুনরায় স্কুলে যোগ দিতে চেয়ে সর্বশিক্ষা মিশনের কাছে আবেদন করে। মিশনের কর্মকর্তারা বুধবার স্কুলে এলে দু’দলের মধ্যে মারামারি বাধে। সালমার বাবা নিজামুদ্দিন মণ্ডল সিপিএমের পাটপুকুর শাখা কমিটির সম্পাদক। তিনি মুখ না খুললেও সালমা বলেন, “গ্রামের নিছক সাধারণ মানুষই তোফাজ্জেলকে স্কুলে ঢুকতে দিতে না চেয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। তোফাজ্জেলরা সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করে। ওরা তাঁদের মারধর করে।” এ ব্যাপারে তোফাজ্জেলের বক্তব্য, “সিপিএমের লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।” তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহির আলি বৈদ্য বলেন, “মেয়েটির বাবা সিপিএম করে। লোকজন জোগাড় করে আমাদের উপর ওরা চড়াও হয়েছে।” যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এসএম সাদি বলেন, “ওটা পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির যুক্ত নয়।” |