ছপরা-কাণ্ডের জের
মিড ডে মিল চেখে নথি রাখার নির্দেশ
বিহারের ছপরা-কাণ্ডের পর মিড ডে মিল নিয়ে কড়া হয়েছে সরকার। ছাত্রদের মিড ডে মিল খাওয়ানোর আগে শিক্ষকদের তা খেয়ে দেখার নির্দেশ এসেছিল আগেই। এ বার কোন শিক্ষক কোন দিন তা পরীক্ষা করছেন, সেই নথি রাখার নির্দেশ দিল সরকার। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের ২৯ অগস্টের এই নির্দেশ জেলায় এসে পৌঁছেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও পরদিনই নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে বিডিও-দের। তবে স্কুলগুলিতে এখনও নির্দেশিকা পৌঁছয়নি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, এ রকম নির্দেশের কথা তাঁরা মৌখিকভাবে শুনলেও সরকারি নির্দেশিকা হাতে পাননি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি স্বপন মুর্মু বলেন, “এই নির্দেশ পালন অতি জরুরি। দ্রুত যাতে প্রতিটি স্কুল এই নথি রাখে তা বলা হবে।” প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতির আরও আবেদন, গ্রামে বিষয়টি গ্রাম শিক্ষা কমিটি ও শহরে ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির দেখভাল করা উচিত। অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসা জরুরি। স্বপনবাবুর বক্তব্য, “সকলে আন্তরিকভাবে নজরদারি চালালে ছপরার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। মিড ডে মিল ছাত্রদের পুষ্টির ব্যাপার। এ ব্যাপারে অবহেলা উচিত নয়।”
মিড ডে মিলে বিষক্রিয়ার জেরে বিহারের ছপরায় বহু ছাত্রে মৃত্যু হয়েছে সম্প্রতি। তারপর গোটা দেশে আলোড়ন পড়ে। এ রাজ্যে সরকার নড়েচড়ে বসে। তড়িঘড়ি মিড ডে মিল পরীক্ষা করার পর ছাত্রদের খাওয়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিদিন খাবার চেখে দেখবেন? প্রধান শিক্ষক না অন্য কেউ? প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতেই বা কী হবে? কারণ অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলে দায় কার উপর বর্তাবে সেটাই প্রশ্ন। এ বার তাই নথি রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। কোন দিন কোন শিক্ষক খাবার পরীক্ষা করছেন তার তালিকা তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে সইও করতে হবে।
জেলায় নির্দেশ পৌঁছনোর পর ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও তা কার্যকর করা যায়নি স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা না পৌঁছনোয়। মেদিনীপুর শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া থেকে শুরু করে মৌপাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়া, ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত চৌধুরী সকলেই বলেন, “এ রকম নির্দেশ হাতে পাইনি। পেলে পদক্ষেপ করব।” প্রশাসন সূত্রে খবর, ফের ব্লক স্তরে এই নির্দেশ কার্যকর করতে কথা বলা হবে। নির্দেশ কার্যকর হয়েছে কিনা তা দেখতে এলাকাতেও যাবেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। যদি কোনও স্কুল নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হবে। জেলার এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “এ রকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ে ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.