|
|
|
|
পূর্বে বাস ধর্মঘটে চূড়ান্ত ভোগান্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাস ধর্মঘটে কলকাতায় তেমন সাড়া না মিললেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ রাস্তায় বৃহস্পতিবার নামল না বেসরকারি বাস। যার জেরে নাকাল হতে হল জেলাবাসীকে।
হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কে ও দিঘা-হাওড়া রুটে সরকারি ও কিছু বেসরকারি বাস চললেও যাত্রীসংখ্যার তুলনায় নিতান্তই কম। তাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সরকারি বাসগুলিতে ঠাসাঠাসি করে উঠতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে এদিন সকালের দিকে হাতে গোনা দু’একটি বাস চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্কুল, কলেজ ও অফিসে যাতায়াতকারী নিত্যযাত্রীরা বাধ্য হয়ে যন্ত্রচালিত মেশিনভ্যান, ট্রেকার ও ট্যাক্সির সাহায্য নেন। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা মেশিন ভ্যান, ট্রেকার, ছোট যাত্রী গাড়িতে চেপে বাজার, হাসপাতাল, স্কুলে যাতায়াত করেছে। সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত ভাড়াও নিয়েছেন বেশ কিছু গাড়ি চালক। চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম, তমলুক-শ্রীরামপুর, মহিষাদল-গেঁওখালির মত স্থানীয় রুটের দখল নেয় ট্রেকার, যন্ত্রচালিত ভ্যান, ছোট যাত্রী গাড়িগুলি। |
|
বাস নেই। তাই মালবাহী গাড়িতেই। এগরায় কৌশিক মিশ্রের ছবি। |
হাওড়া জেলার শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজর্ষি মহাপাত্র প্রতিদিন তমলুক থেকে মেচেদা স্টেশন হয়ে বাগনান থেকে ফের বাস ধরে যাতায়াত করেন। রাজর্ষিবাবু বলেন, “ৃবাসের জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ট্যাক্সি করে মেচেদায় যাই। বাগনান পর্যন্ত ট্রেনে যেতে অসুবিধা হয়নি। নেমেও বাস পেয়েছি।” নন্দকুমারের শ্রীধরপুর এলাকা থেকে ১০ বছরের মেয়েকে চিকিৎসার জন্য তমলুক জেলা হাসাপাতলে নিয়ে আসছিলেন সালেমা বিবি। মেশিন ভ্যানে চেপে আসা সালেমা বলেন, “বাধ্য হয়ে ওই খোলা গাড়িতে উঠেছিলাম। রাস্তা দিয়ে আসার সময় যে ভাবে ঝাঁকুনি খাচ্ছিল, তাতে দুর্ঘটনার ভয় করছিল। কিন্তু এ ছাড়া উপায় ছিল না।” |
|
বাস ধর্মঘটের জেরে বৃহস্পতিবার দিনভর দুর্ভোগে পড়েছেন
বহু নিত্যযাত্রী। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে সৌমেশ্বর মণ্ডলের ছবি। |
জেলার সব রুট মিলিয়ে প্রায় ১২০০ বেসরকারি বাস রয়েছে। জ্বালানী তেলের দাম-সহ আনুষঙ্গিক খরচ বাড়া সত্ত্বেও ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ায় বাস নামানো বন্ধ করে দিচ্ছেন মালিকরা। এখন গড়ে জেলায় প্রতিদিন ৭০০-৮০০টি বেসরকারি বাস চলে। তাই তৃণমূল নেতা হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার বেরা ধর্মঘটের পক্ষে বলেন, ‘‘যাত্রীদের কষ্ট হয়েছে জানি। কিন্তু বাস মালিকদের দিকটাও দেখতে হবে। তবে, শুক্রবার আর ধর্মঘট হবে না। আশা করছি সরকার ব্যবস্থা নেবে ।”
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “ধর্মঘটের কারণে জেলায় বাস চলাচল কম হলেও সরকারি অফিসগুলিতে কর্মীদের হাজিরা স্বাভাবিক ছিল।” |
|
|
|
|
|