শহরে ডেঙ্গির বাড়ছে। সাফাইয়ের কাজ চলছে অনিয়মিত। শিলিগুড়ি পুরসভার নানা ওয়ার্ডে আবর্জনার স্তূপ জমছে। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার থেকে সাফাই কর্মীদের একাংশের দেখা মিলছে না। সে সব গাড়ি জঞ্জাল তোলে, সেগুলিও নিয়মিত চলছে না বলে অভিযোগ।
সাফাইয়ের কাজ যেখানে নিয়মিত হওয়ার কথা সেখানে গত চার দিন ধরে আবর্জনা সাফ করতে পুর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুজোর মুখে শহর অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার উপর শহরের নানা ওয়ার্ডে যে ভাবে ডেঙ্গির সংক্রমণ ছড়িয়েছে তাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে তারা মনে করেন। অথচ তা তো হচ্ছেই না উল্টে শহরের অনেক রাস্তায় জমে ওঠা আবর্জনার স্তূপের জন্য চলাফেরা করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ মানতে নারাজ বিভাগীয় মেয়র পারিষদ স্বপন চন্দ। তিনি বলেন, “বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় কিছু গাড়ি বন্ধ ছিল। বুধবার অনেক গাড়ি আসেনি। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সেই সমস্যা নেই। অথচ কেন এ ধরনের অভিযোগ উঠছে বুঝতে পারছি না।” তাঁর দাবি, পুজোর সাফাইয়ের কাজেও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মেয়র পারিষদ যাই বলুন পুজোর সাফাই পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়নি পুরসভায়। অনেকেই ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতায় প্রশ্ন তুলেছেন। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপায়ন রায় বলেন, “পুজোর সময় সমস্ত বাড়িতে গাছাপালা কাটা, ঘর পরিষ্কার করা হয়। সে জন্য এ সময় আবর্জনার পরিমাণ বেশি হয়। বাড়তি পরিষেবার ব্যবস্থা করতে হয়। অথচ চারদিন ধরে আবর্জনা তুলতে গাড়ি আসছে না ওয়ার্ডে।” একই কথা বলেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শর্মিলা দাসও।
তৃণমূল কাউন্সিলরদের অভিযোগ, পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে এই বোর্ড। পুজোর আগে বাড়তি সাফাই কর্মী দিয়ে শহর পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করতে হয়। প্রতি ওয়ার্ডে সাফাইয়ের গাড়ির ট্রিপ বাড়ানো দরকার। তা নিয়ে কোনও আলোচনা এখনও করে উঠতে পারেননি মেয়র পারিষদ। সাফাই বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেছেন, “এখন পর্যন্ত দফতরের সব থেকে অকর্মণ্য মেয়র পারিষদ স্বপনবাবু। যাঁর কোনও পরিকল্পনা নেই। কী করে শহরকে পরিষ্কার রাখা যায় তা নিয়ে তিনি উদ্যোগী নন। দুলালবাবু জানান, বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য টানা ৩ দিন গাড়ি বন্ধ কখনও থাকেনি। |