থানায় গিয়েছিলেন নাতনির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে। বদলে জুটল মারধর, ঘাড়ধাক্কা। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার এই অভিযোগ তুলেছেন শ্যামল দত্ত নামে এক বৃদ্ধ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানায়।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার হরিদেবপুরের সোদপুরে নিজেদের বাড়িতে রান্নার কড়াইয়ে পড়ে ১১ মাসের একটি শিশুকন্যা ভীষণ ভাবে পুড়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বিকেলে তাকে ব্রেসব্রিজের কাছে সমাহিত করতে নিয়ে যাওয়া হয়। গণ্ডগোলের সূত্রপাত সেখানেই।
শিশুটির দাদু শ্যামল দত্ত জানান, তাঁর মেয়ে উষার বিয়ে হয়েছে শম্ভু মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে উষার বিশেষ বনিবনা ছিল না। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, তাঁরা শেষ বারের মতো শিশুটিকে চোখের দেখা দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দেখতে দেওয়া হয়নি। তার পরেই তাঁরা হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। শ্যামলবাবু বলেন, “পুলিশ আমাদের কথা শুনতে চায়নি। অভিযোগও নিতে চায়নি। উল্টে এক পুলিশ অফিসার আমাকে মারধর করে থানা থেকে বার করে দেন। আমার ছেলেকে চড় মেরে তার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।”
পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি (শ্যামলবাবু এবং তাঁর ছেলে) থানায় ঢুকে পুলিশকর্তাদের গালাগালি দিতে থাকেন। দু’তিন বার বারণ করা সত্ত্বেও তাঁরা গালাগালি বন্ধ করেননি। তখনই তাঁদের থানা থেকে বার করে দেওয়া হয়। উপরতলার পুলিশকর্তাদের চাপে প্রায় চার ঘণ্টা পরে অভিযোগ নেয় হরিদেবপুর থানা। শ্যামলবাবুরা তাঁদের অভিযোগে মারধর, ঘাড়ধাক্কা-সহ সব কথাই জানিয়েছেন। ডিসি (বেহালা ডিভিশন) সুব্রত মিত্র পরে বলেন, “কড়াইয়ের গরম তেলে আচমকা পড়ে গিয়ে শিশুটির শরীর ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাতেই তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।” |