মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ বুধবারই গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজার মহলকে অবাক করে আর্থিক ত্রাণ প্রকল্পে স্থিতাবস্থা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে বৈঠক শেষে গৃহীত এই প্রস্তাব বৃহস্পতিবার মুম্বই বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সেনসেক্স বেড়ে যায় প্রায় ৭০০ পয়েন্ট।
বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলিও এ দিন ছিল বাজারমুখী। ফলে ডলারে টাকার দাম বেড়ে যায় ১৬১ পয়সা। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬১.৭৭ টাকা। উপরন্তু আগামী কাল আরবিআইয়ের ঋণনীতির দিকেও তাকিয়ে আছে বাজার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্নর রঘুরাম রাজন তাঁর প্রথম ঋণনীতিতে শিল্পের হাল ফেরাতে কিছু একটা করবেনই বলে আস্থা রাখছেন লগ্নিকারীরা। ঋণনীতির আগের দিন বাজার এতটা বাড়ার পিছনে এই ‘রাজন এফেক্ট’-ও কাজ করেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই অর্থনীতিতে নগদের যথেষ্ট জোগান বজায় রাখতে মাসে ৮৫০০ কোটি ডলারের ঋণপত্র কেনার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সুদের হারও এখনই বাড়াবে না তারা। আর, এই খবরেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে শেয়ার বাজার। কারণ, তারা আঁচ করছিল, মার্কিন অর্থনীতি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোয় অন্তত তা ৭৫০০ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হবে।
সেনসেক্স এ দিন বেড়ে যায় এক ধাক্কায় ৬৮৪ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ছিল ২০,৬৪৬.৬৪ অঙ্কে। ২০১০-এর ১০ নভেম্বরের পর সেনসেক্স আর এত উঁচুতে পৌঁছয়নি। বিশেষজ্ঞরা জানান, মার্কিন অর্থনীতিতে নগদের পর্যাপ্ত জোগান থাকলে এবং সে দেশে সুদ তলানিতে থাকলে ভারতের শেয়ার বাজারে লগ্নি বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির কাছে আকর্ষণীয়ই থাকবে। যা ভারতের বাজারকে চাঙ্গা রাখবে। |