|
|
|
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক শিশু-সহ একই পরিবারের তিন জনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল গাড়ির চালক-সহ একই পরিবারের তিন জনের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের কাছে মশাগ্রাম ওভার ব্রিজের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম আরাধ্যা (১ মাস), রজত দাস (৩১), অন্তরা দাস (২৬), ও নবকুমার ঠাকুর (৪১)। প্রথম তিন জনের বাড়ি বর্ধমানের আলমগঞ্জে। রাত পর্যন্ত চালকের বাড়ির ঠিকানা জানা যায়নি। |
|
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে অন্তরাদেবীর একটি কন্যা সন্তান হয়। এরপর অন্তরাদেবীর শারীধিক সমস্যা দেখা যাওয়ায় বাড়ির অন্য সদস্যরা তাঁকে বুধবার মারুতি ভ্যানে করে কলকাতার এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। মারুতি ভ্যানে মৃত চার জন ছাড়াও ছিলেন রজতবাবুর মা শুভ্রা দাস ও শাশুড়ি শান্তি মিত্র। চিকিৎসককে দেখিয়ে ফেরার পথে রাতে একটি ধাবাতে খাওয়া সারেন তাঁরা। এরপর দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর মশাগ্রাম ওভার ব্রিজের কাছে একটি ডাম্পার তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মারা যান অন্তরাদেবী। আহত দু’জনকে প্রথমে বর্ধমান একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রজতবাবুর বাবা রতন দাস বলেন, “ গভীর রাতে পুলিশ দুর্ঘটনার খবর দেয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি আমার ছেলে, পুত্রবধু, নাতনির কেউই বেঁচে নেই।”
|
জাল শংসাপত্র পেশের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি-উপজাতির জাল শংসাপত্র দিয়ে ভোটে লড়ার অভিযোগ করল তৃণমূল। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী শিবশঙ্কর সাহার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শক্তিরঞ্জন মন্ডল। শক্তিবাবুর দাবি, প্রার্থী হবার সময় শিবশঙ্করবাবু যে হাতে লেখা জাতিগত শংসাপত্র পেশ করেছেন তাতে ত্রুটি রয়েছে। এই বিষয়ে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, জাতীয় তফসিলি জাতি-উপজাতি দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতীয় তপশিলী জাতি-উপজাতি কমিশনের অধিকর্তা রাজীব ভট্টাচার্য। বর্ধমানের মহকুমাশাসক তথা বর্ধমান পুরসভার নির্বাচন আধিকারিক প্রদীপ আচার্য বলেন, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। যদি প্রমানিত হয় ওই শংসাপত্রটি জাল, তাহলে শিবশংকরবাবুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে শিবশংকরবাবুর দাবি, “তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। প্রশাসনের তদন্তে শংসাপত্র জাল বলে প্রমানিত হলে আমাকে ভোটেই দাঁড়াতে দেওয়া হতো কী?” |
|
|
|
|
|