|
|
|
|
|
স্বামীর ছায়াতেই প্রচারে তিন মহিলা
রানা সেনগুপ্ত • বর্ধমান
|
|
হার-জিত পরে, আপাতত স্বামীর স্মৃতিতে ভর করেই ভোটের ময়দানে উড়ে বেড়াচ্ছেন তিন মহিলা।
কংগ্রেসের শ্রীলেখা ঘোষ, জ্যোৎস্না গড়াই এবং কল্যাণী রায় তিন প্রার্থীই প্রচার জুড়ে বলে বেড়াচ্ছেন তাঁদের স্বামীদের পূরণ না করতে পারা স্বপ্ন, ইচ্ছের কথা। সঙ্গে অবশ্য জয়ের কথা বলছেন না তা নয়। তবে সেটাও যেন স্বামীদের নাম রক্ষারই চেষ্টা।
বর্ধমান পুরসভার শেষ বামবিরোধী চেয়ারম্যান ছিলেন সাধন ঘোষ। তাঁর স্ত্রী শ্রীলেখা ঘোষই এ বার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী। শ্রীলেখাদেবীও গত চার বছর ধরে জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সহ-সভাপতি। বছরভর পাড়ার ও এলাকার নানা সমাজসেবার কাজে থাকেন বলেও তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “ছাত্রী অবস্থা থেকেই রাজনীতি করছি। স্বামীকেও খুব কাছ থেকে দেখেছি। দেখেছি দলের বড় বড় নেতাদেরও। এত দিন দরকার হয়নি তাই দাঁড়াইনি। তবে এ বার প্রদীপবাবু বললেন, তাই ভোটের ময়দানে নামলাম।” বিরোধী তৃণমূলের মমতা রায়কে তাঁর চ্যালেঞ্জ, “তৃণমূল, সিপিএম বা আরএসপিও প্রচারে আমার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছে না। জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না।” |
শ্রীলেখা ঘোষ।
|
জ্যোৎস্না গড়াই।
|
কল্যাণী রায়।
|
|
—নিজস্ব চিত্র। |
৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী জ্যোৎস্না গড়াইও স্বামী চম্পক গড়াইয়ের ‘আদর্শকে পাথেয়’ করেই প্রচারে নেমেছেন। চম্পকবাবু ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সেবা দলের চেয়ারম্যান। প্রণববাবুর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি। প্রচারে বেরিয়ে জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, “নতুন করে কাউকেই কিছু বলতে হচ্ছে না। যাঁর কাছেই যাচ্ছি, দেখচি তিনি স্বামীর সূত্রে আমাকে চেনেন।” কিন্তু চিনলেই তো হল না, ভোট পাবেন তো? বললেন, “তৃণমূলের সমীর রায় জবরদস্ত প্রার্থী। তবে এই ওয়ার্ডে অনেক কাজ বাকি। মানুষকে সেগুলোর কথা বলছি। আর বলছি, আমার স্বামীর আত্মত্যাগ, সিপিএমের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই দেওয়ার কথা।”
আরেক প্রার্থী, ২৫ নম্বরের কল্যাণী রায়ও স্বামীর ছায়ার আশ্রয় নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছেন। তাঁর স্বামী কংগ্রেসের রাজ্য নেতা নজরুল ইসলামের অনুগামী হিমাংশু রায়কে এক ডাকেই চেনেন বর্ধমানের মানুষ। তবে সিপিএমের ভরাডুবি দেখার আগেই প্রয়াত হন তিনি। কল্যাণীদেবী বলেন, “এটা আসলে বাঁকা নদীর পাড়ের একটা গ্রাম। নিকাশী, পানীয় জল, সাফাই কোনও পরিষেবাই মানুষ ঠিকমতো পাননা। ওয়ার্ড ঘুরলেই সবাই তা বুঝতে পারছে। আমার স্বামী শহরকে একটা সময় ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ৩৪ বছরে সে সুযোগ হয়নি। তাই মানুষকে বলছি, একটা সুযোগ দিন।” তবে রিগিংয়ের ভয় যে একটু আধটু পাচ্ছেন না তা নয়। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শঙ্করী ঘোষ জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৫০ লিড ছিল তৃণমূলের। কল্যাণীদেবীর কথায় মুচকি হেসে বলেন, “জয় ছাড়া তো কিছুই দেখছি না।” |
|
|
|
|
|