স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে কেতুগ্রাম-২ ব্লকের সিতাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঘটনায় দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় চলে ইটবৃষ্টি। বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। ঘটনার পর এলাকার প্রতিটি মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিপিএম মনোনয়ন দাখিল করতে না পারাই শুধু তৃণমূল প্রার্থীরাই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
|
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিতাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছিল। সিপিএমের অভিযোগ, সকাল ৯ টা থেকে তাঁরা স্কুলের সামনে জমায়েত শুরু করে। বেলা ১০ টা নাগাদ তাঁদের প্রার্থীরা স্কুলের ভিতর ঢুকতে গেলে তৃণমূল সমর্থকেরা বাধা দেয়। তৃণমূল সমর্থকেরা বোমাবাজি করে ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। দলের কেতুগ্রাম-২ লোকাল কমিটির সম্পাদক তমাল মাঝি বলেন, “পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।”
আহত সিপিএম নেতা প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “তৃণমূলের হামলার ভয়ে আমি লুকিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে টেনে বার করে মারধর করা হয়। এলাকার মহিলারা আমাকে উদ্ধার করে।” তাঁকে ভাগিরথী দিয়ে নৌকা করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে থেকে তাঁকে হাওড়ার আন্দুলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সভাপতি দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “সিপিএম বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের কর্মীদের বাইক ভাঙচুর করে। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে এক সিপিএম নেতা পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন।” |