পুজোর মুখেও রিষড়া সেবাসদন হাসপাতালের পরিচালনা সংক্রান্ত জটিলতা মিটল না। পাঁচ মাস ধরে বেতন না মেলায় সঙ্কট বেড়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। পুজোর মাসেও বকেয়া বেতন মিলবে কিনা সন্দেহ। অবশ্য পরিষেবায় কোনও আঁচ তাঁরা পড়তে দেননি।
হাসপাতাল চালানোর দায়িত্ব চেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন পুরপ্রধান শঙ্করপ্রসাদ সাউ। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “ওই হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে আমরা অবহিত। কী ভাবে তা মেটানো যায়, তা সরকারি স্তরে দেখা হচ্ছে।” তবে, কবে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানাননি চন্দ্রিমাদেবী।
হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করত পুরপ্রধানের সভাপতিত্বে গঠিত প্রশাসনিক কমিটি। রাজ্য সরকার প্রতি বছর ২৭ লক্ষ টাকা অনুদান দিত। ২০১০ সালে পুরভোটে রিষড়া পুরসভা বামেদের হাতছাড়া হয়। তার পরেই হাসপাতালের প্রশাসনিক কমিটি ভেঙে পরিচালন সমিতি তৈরি হয়। সেবাসদনের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, কৌশলে ওই কমিটি ভেঙে পরিচালন সমিতি গড়া হয়। পরিচালন সমিতির সম্পাদক হন সিপিএমের দিলীপ সরকার। তিনি পুরপ্রধান থাকার সময়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক কমিটির সভাপতি ছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে অনুদানের প্রথম খাতের ১৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অনুদান বন্ধ করে দেয় সরকার। কর্মীরা আন্দোলন শুরু করেন। পরিস্থিতির চাপে দিলীপবাবু এবং পরিচালন সমিতির ১৬ জন সদস্য মহকুমাশাসককে শর্তশাপেক্ষে ইস্তফাপত্র জমা দেন। দিলীপবাবু আর সেবাসদনে আসছেন না। তিনি চেকে সই না করায় আর্থিক লেনদেন বন্ধ। দিলীপবাবু অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন কর্মীদের বিরুদ্ধে। অনুদান-বন্ধের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
পুরপ্রধান বলেন, “দায়িত্ব পেলে মানুষকে পাশে নিয়ে হাসপাতাল চালাতে পুরসভা প্রস্তুত।”
|