হাসপাতাল ফেরাল রোগীকে
বিদীপ্তা বিশ্বাস • কলকাতা |
হাসপাতালে বেডের অভাব। ক্যানসারে আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগীরও তাই ঠাঁই হল না। এমনকী, ভর্তির জন্য কর্তৃপক্ষ বেড নম্বর লিখে দেওয়ার পরেও ওয়ার্ড থেকে ওই রোগীকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। বুধবার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় এই অভিযোগ জানিয়েছেন গণেশ জানা নামে ওই রোগীর পরিজনেরা। এর পরেই নড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। ২৩ সেপ্টেম্বর গণেশবাবুকে ভর্তি করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাথরপ্রতিমার বাসিন্দা ওই রোগী অবশ্য হাসপাতালে ঠাঁই না পেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ওই চত্বরেই সস্ত্রীক পড়ে রয়েছেন। |
গত এক বছর ধরে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হৃদরোগের চিকিৎসা চলছিল মাছ ব্যবসায়ী গণেশবাবুর। তাঁর স্ত্রী মেনকাদেবী জানান, চিকিৎসায় উন্নতি না হওয়ায় ওঁরা চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, গণেশবাবুর খাদ্যনালীতে ক্যানসার হয়েছে। তা ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার দরকার। গণেশবাবুর অভিযোগ, ১৩ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাঁর টিকিটে বেড নম্বর (এস-৩০৭) লিখে দেওয়া হয়। কিন্তু চারতলায় পৌঁছে তিনি দেখেন, নাম কাটা। মেনকাদেবীর কথায়, “স্বামীর পক্ষে বার বার পাথরপ্রতিমা থেকে আসা-যাওয়া সম্ভব নয়, তাই হাসপাতালের ওয়েটিং রুমেই আমরা পড়ে আছি।” কেন ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও গণেশবাবুর নাম কাটা হল? অধিকর্তা জয়দীপ বিশ্বাস বলেন, “এমন হওয়া উচিত নয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে হাসপাতালে মাত্র ২২০টি বেড। ফলে সবাইকে ভর্তি করা সম্ভব হয় না।”
|
চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে। মৃতা শম্পা মণ্ডলের (২২) পরিবার নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাঁসখালির বাসিন্দা শম্পাকে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলার একটি নার্সিংহোমে। কিন্তু সেখানেও কিছু করা যায়নি। পরে শম্পাদেবীর পরিবার তাঁকে নিয়ে যান কৃষ্ণনগরের একটি নার্সিংহোমে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, কৃষ্ণনগরের ওই নার্সিংহোমে স্ট্রেচারেই ফেলে রাখা হয়েছিল শম্পাদেবীকে। চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নার্সিংহোম মালিক মহাদেব ঘোষ বলেন, “শেষ মুহূর্তে ওই প্রসূতিকে নার্সিংহোমে নিয়ে আসায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।” কৃষ্ণনগরের আই সি অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন মেডিক্যালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ট্রান্সফর্মারে ত্রুটির জেরে বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। এমআরআই-সহ কিছু পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “হাসপাতালের একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সামান্য কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়েছিল। তেমন সমস্যা হয়নি। একটি ট্রান্সফরমারে ত্রুটি ধরার ফলেই এই পরিস্থিতি।” জানা গিয়েছে, ওই ট্রান্সফরমারে আচমকাই বিদ্যুতের ঝলক দেখা দেয়। তারপরই ত্রুটি নজরে আসে।
|
‘গুগল গ্লাস’ পরে অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসক জে এস রাজকুমার। কম্পিউটারের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের সরাসরি সম্প্রচার দেখলেন বিশ্বের মানুষ। মঙ্গলবার রাতে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে বছর ছেচল্লিশের এক মহিলার অস্ত্রোপচার করলেন তিনি। রাজকুমারই হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় চিকিৎসক যিনি অস্ত্রোপচারের সময় ‘গুগল প্লাস’ ব্যবহার করলেন। ভারতে তিনিই প্রথম। পরে রাজকুমারবাবু বলেন, “ডাক্তারির ছাত্ররা এ থেকে খুবই উপকৃত হবে। জটিল অস্ত্রোপচারের সময় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া যাবে।” |