বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ভুটা)-এর নির্বাচনে ফের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। তারই জেরে সংগঠনের রাশ চলে গেল বামপন্থীদের দখলে। বুধবার ছিল ভুটার নির্বাচন। ৫ জন পদাধিকারী ও ৮ জন এগ্জিকিউটিভ কমিটির সদস্য নিয়ে এই কমিটি। তাতে ৫ পদাধিকারীর মধ্যে ওয়েবকুপা মনোনীত প্যানেলের মাত্র এক জন জয়ী হন। এগ্জিকিউটিভ কমিটিতে কোনও প্রার্থীই দিতে পারেননি তাঁরা। ফলে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একেবারেই ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূল সমর্থিত এই শিক্ষক সংগঠনের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই যে এই হাল তা স্বীকার করেছেন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে যোগ দিয়ে পরাজিত হওয়া ওয়েবকুপা-র সদস্য রাজকুমার কোঠারি। তাঁর কথায়, “অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্যই এই পরাজয়। এমনকী সংগঠনের আহ্বায়ক নির্বাচনের আগে আমাদের সমর্থন করছেন না বলে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে যান তিনি।” আর ওয়েবকুপার বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের আহ্বায়ক ইন্দ্রানী দত্ত চৌধুরীর কথায়, “সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই নিজেদের খুশি মতো প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছিল। এই হারের দায় তাই সংগঠন নেবে না।” জয়ী সভাপতি অম্বরীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিগত বছরে নিশ্চয় শিক্ষক স্বার্থে ভাল কাজ করতে পেরেছিলাম। তাই এ বারও বেশির ভাগ শিক্ষক আমাদেরই সমর্থন করেছেন।” তবে তিনি ভুটাতে কোনও রাজনৈতিক রং দিতে রাজি নন। তাঁর কথায়, “এটি অরাজনৈতিক সংগঠন।”
তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরেই অবশ্য হই হই করে ভুটাতে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষকেরা। কিন্তু তারপরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালেই ফের ভুটার দখল নেন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন শিক্ষকেরা। চলতি বছরেও একই ঘটনা ঘটল। ফের সভাপতি, সহ সভাপতি, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকের একজন জয়ী হয়েছেন বামপন্থী প্যানেলের। ওয়েবকুপার প্যানেলের যুগ্ম সম্পাদক পদে দাঁড়ানো কেবল বিপ্লব মণ্ডল জয়ী হয়েছেন। তা-ও জয় পেয়েছেন মাত্র ১৩ ভোটে। যেখানে বামপন্থীরা নূনতম ৩০ থেকে শুরু করে ৬০-৬৫ ভোটে সব ক্ষেত্রেই জয়ী হয়েছেন। ভুটার নির্বাচনের দিনক্ষণ আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি সি মুখার্জী হলে শিক্ষকেরা জড়ো হন। প্রায় ১২১ জন শিক্ষক হাজির ছিলেন। |