|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
এরই মধ্যে ভাঙতে চলেছে ‘ভুটা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকেই বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ভুটা) বামপন্থীদের দখলে ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর বদলে যায় ভুটাও। দখল নেয় বামবিরোধীরা। কিন্তু ৬ মাস পেরনোর আগেই সেই ‘ভুটা’ ভাঙন দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব রোখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়েও। নির্বাচিত ৫ জন প্রতিনিধির মধ্যে তিন জন পদত্যাগ করেছেন বিভিন্ন সময়ে। ফলে ফের ভুটা-র নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও এখনও তৃতীয় জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি বলে ভুটা-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভুটা থেকে সর্বশেষ পদত্যাগ করেছেন তৃণমূল শিক্ষা-সেলের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক তথা ইংরাজি বিভাগের শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী দত্ত চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুটা-র সদস্যদের নিয়ে কোনও বৈঠক হচ্ছিল না। তাঁকে অন্ধকারে রেখে ভুটা তৃণমূল বা রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তির পক্ষে ক্ষতিকারক সিদ্ধান্ত নিতে পারেএই আশঙ্কাতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইন্দ্রাণীদেবী। তিনি বলেন, “ভুটার কাজ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান-উন্নয়ন, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সাহায্য করা। কিন্তু এই কাজে সংগঠনের সক্রিয়তা দেখছি না। তৃণমূল শিক্ষা-সেলের দায়িত্বে থাকায় ভুটা-র এই ভূমিকা তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে বলেই আমার আশঙ্কা। যে কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছি।”
ভুটা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুটাতে মোট ৮ জনের এক্সিকিউটিভ কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি। গত বছরের অগস্ট মাসে ভুটা-র নির্বাচন হয়। যেখানে অবাম শিক্ষকেরা ও তৃণমূল শিক্ষা-সেল যৌথ ভাবে লড়াই করে বামপন্থীদের দখলে থাকা ভুটা-র প্রতিনিধিত্ব কেড়ে নিতে সক্ষম হয়। যে সময় ভুটা-র নির্বাচন হয়েছিল তার অনেক আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল শিক্ষা-সেলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইন্দ্রাণীদেবী। রাজ্যে পরিবর্তন আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল শিক্ষা-সেলের আহ্বায়ক করা হয়। ভুটা-র নির্বাচনে লড়ার জন্য তিনিই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসেন। ৫টি আসনে নির্বাচন হয়। সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকপ্রতিটি আসনেই বাম-বিরোধীরা জয়লাভ করেন। সভাপতি হয়েছিলেন অভিজিৎ গুহ ও সহ-সভাপতি হয়েছিলেন রাজকুমার কোঠারী। নির্বাচনের কিছু দিন পরেই অবাম শিক্ষক সংগঠনের ওই দুই পদাধিকারী পদত্যাগ করেন। আর শনিবার পদত্যাগ করলেন অন্যতম যুগ্ম-সম্পাদক ইন্দ্রাণীদেবী।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করা হবে?
ভুটা-র সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুটা-র বৈঠক ডাকা হবে। আলোচনার ভিত্তিতেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফের ভুটা-র দখল নেওয়ার জন্য ছক কষছে সিপিএম। নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ইতিমধ্যেই তারা ময়দানে নেমে পড়েছে। |
|
|
|
|
|