|
|
|
|
ছুরি কুপিয়ে খুন মেয়েকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নাবালিকা মেয়েকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার দক্ষিণ মির্জাপুর গ্রামের। অভিযুক্ত কালাম গায়েনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তমলুকের খারুই-২ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মির্জাপুর গ্রামে চার মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সংসার কালামের। পুলিশ জানায়, কালাম গাঁজা ব্যবসায় জড়িত ছিল। এলাকার বিভিন্ন অসামাজিক কাজেও জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালামের গাঁজার ব্যবসা নিয়ে আপত্তি করতেন স্ত্রী সাকিনা বিবি এবং ছেলেমেয়েরা। এ নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। |
|
মৃত কিশোরীর শোকার্ত পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র। |
বুধবার সকালেও সাকিনার সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল কালামের। বচসা চলাকালীন কামাল ছুরি দিয়ে আঘাত করলে সাকিনা পালিয়ে যান। সেই সময় স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল মেয়ে সাহানারা খাতুন (১২)। আচমকা কামাল ঘরে ঢুকে সাহানারার গলায় ছুরি বসিয়ে দেয়।
এ দিকে, সাকিনার চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। সাহানারাকে উদ্ধার করতে গেলে ছুরি নিয়ে গ্রামবাসীদের দিকে তেড়ে যায় কালাম। বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থাতেই পড়ে থাকে ওই কিশোরী। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। কালামের ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন তার স্ত্রী ও আরও দুই গ্রামবাসী। উত্তেজিত এলাকাবাসী কোনও রকমে কালামকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রামবাসীদের মারধরে জখম কালামকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
খারুই-২ পঞ্চায়েতের প্রধান বামদেব গুছাইত বলেন, “গাঁজা ব্যবসা-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হত কালামের। কিন্তু তার জেরে মেয়েকে এ ভাবে খুন করবে ভাবিনি।” তিনি জানান, এর আগেও একবার বড় মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিল কালাম। সেই ঘটনায় বেশ কিছু দিন জেল হেফাজতে ছিল কালাম। |
|
|
|
|
|