|
|
|
|
দাসপুরে গণ্ডগোল চলছেই, গ্রেফতার ১০ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
রাজনৈতিক উত্তেজনায় এখনও উত্তপ্ত দাসপুরের নিমতলা। গোটা এলাকা পুলিশে ছয়লাপ। তারই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে নিমতলায় সিপিএমের দাসপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিভারানি মিদ্যা সহ-৫টি বাড়িতে ভাঙচুর চলে। এমনকী বুধবার ভোরে নিমতলা সংলগ্ন রানাপুরে গোপাল বায়েন নামে এক সিপিএম সমর্থকের গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। এক ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে মৃত্যু হয়েছে একটি গরুর। তৃণমূলের দাসপুরের বিধায়ক অজিত ভুঁইয়া বলেন, “বাড়ি ভাঙচুর ও গোয়াল ঘরে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। যদি দলের কেউ জড়িত থাকে, তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
আদালত চত্বরে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র |
এ দিকে, নিমতলায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মারধর, বাইক ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার দাসপুরের সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল অধিকারী, দাসপুরের লোকাল কমিটির সম্পাদক গুণধর বসু-সহ মোট ২৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। রাতেই ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা সকলেই সিপিএম সমর্থক। বুধবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ‘দুষ্কৃতীরা’ সিপিএমের নেতা-কর্মীরদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হলেও তৃণমূলের লোকেদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “তৃণমূল যা বলছে, পুলিশ তাই করছে। আর কী-ই বা বলব?” উত্তেজনা থাকায় এখনও পুলিশি টহল চলছে নিমতলা, রানাপুর, রসিকগঞ্জ-সহ সংলগ্ন ঘাটাল থানার সাদিচক, কাটান প্রভৃতি এলাকায়। ঘাটালের সিআই অসিত সামন্ত বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। পুলিশি টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|