নন্দীগ্রামের স্কুল ভোট ঘিরেও তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে নন্দীগ্রামে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
নন্দীগ্রামে সোনাচূড়া হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের ৬টি আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল বুধবার। কিন্তু প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে বিরোধের জেরে তা জমা দেওয়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। সোনাচুড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধানের গোষ্ঠীর সঙ্গে নিহত প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ পর্যন্ত দুই গোষ্ঠী মিলিয়ে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
কালীকৃষ্ণ প্রধানের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জন দলীয় সমর্থক এ দিন সকালে মনোনয়ন জমা দিতে স্কুলে যান। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই স্কুলের সামনে তাঁরা জড়ো হন বলে অভিযোগ। তাঁরাই প্রথমে মনোনয়ন জমা দেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিশিকান্ত মণ্ডলের স্ত্রী মানসী মণ্ডল ও তাঁর ছেলে সত্যজিত মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর বেশ কিছু সমর্থক তাঁদের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান। সত্যজিতবাবু ও মানসীদেবী এ বার সোনাচুড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য হয়েছেন।
অভিযোগ, সত্যজিতবাবু-সহ তাঁর গোষ্ঠীর কিছু সমর্থক তখন কালীকৃষ্ণবাবুর গোষ্ঠীর সমর্থকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধলে স্কুল চত্বরে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে সত্যজিতবাবুর গোষ্ঠীর চার প্রার্থী আহত হন। সত্যজিতবাবুর গোষ্ঠীর দু’জন প্রার্থী সহ কিছু সমর্থক স্কুলে ঢুকতে পারেনি বলেও অভিযোগ করা হয়। শেষ পর্যন্ত কালীকৃষ্ণবাবুর গোষ্ঠীর ৬ জন প্রার্থী ও সত্যজিতবাবুর গোষ্ঠীর ৪ জন মিলে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। সত্যজিবাবুর অভিযোগ, “স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য দলীয় বৈঠকে আমাদের ডাকা হয়নি। এ ছাড়াও দলের তরফে বাছাই করা প্রার্থীদের কয়েকজনকে নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের আপত্তি রয়েছে। তাই আমরা বাসিন্দাদের মতামত নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাই। কিন্তু এ দিন আমাদের প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ও মারধর করা হয়। দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে কালীকৃষ্ণবাবু বলেন, “দলীয়স্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন হয়। এ নিয়ে দলের একাংশের সঙ্গে মত বিরোধ ঘটেছে। তাঁরা আলাদা ভাবে চারটি মনোনয়ন জমা দেন। তবে তাদের বাধা বা মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।” প্রধান শিক্ষক গৌরীশঙ্কর জানা বলেন, “১০টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.