|
|
|
|
শিয়রে ভোট, এক লাফে দশ গুণ সদস্য বাড়ল পাঠাগারের
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
কিছু দিন আগেও মহিষাদলের রবীন্দ্র পাঠাগারের সদস্য ছিল মেরেকেটে তিনশো জন। অগস্টের মাঝামাঝি সেই সংখ্যা ছুঁল প্রায় তিন হাজার। নতুন সদস্য হলেন প্রায় ২ হাজার ২৭০ জন। পড়ার জন্য নয়, সৌজন্যে গ্রন্থাগার পরিচালন সমিতির নির্বাচন।
পাঁশকুড়া-হলদিয়া রাজ্য সড়কের গায়ে অবস্থিত রবীন্দ্র পাঠাগার এলাকার সবচেয়ে পুরানো ও ঐতিহ্যশালী হিসাবে পরিচিত। প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৫০। প্রতিষ্ঠানটি শহর পাঠাগার হিসাবে স্বীকৃতি পায় ১৯৮৭ সালে। পাঠাগারের নির্বাচন রয়েছে ২৪ নভেম্বর। নিয়ম অনুয়ায়ী ২২ অগস্টের মধ্যে সদস্যপদ নেওয়া পাঠকরাই একমাত্র ভোটাধিকার পাবেন। গতবার সদস্য সংখ্যা পাঁচশো জনের কম ছিল বলে নির্বাচনে আসন সংখ্যা ছিল ৮। |
|
মহিষাদলের রবীন্দ্র পাঠাগার।—নিজস্ব চিত্র। |
এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১২। সরকার পোষিত এই গ্রন্থাগারের আধিকারিক প্রভাসচন্দ্র জানা বলেন, “আমার ৩২ বছরের কর্মজীবনে এমনটা দেখেনি, শুনিনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও অবাক। প্রতিবারই দেখেছি নির্বাচনকে সামনে রেখে একশো-দেড়শো জন সদস্য হন। তারপর তাঁরা আর গ্রন্থাগার মুখো হন না। এ বারও তাই-ই হবে ধরা যেতে পারে।”
কিন্তু কারা হয়েছেন নতুন সদস্য? গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল-সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের কিছু তো আছেই। নাম লিখিয়েছেন সিভিক পুলিশ, আশা প্রকল্পের মহিলা, শ্রমিক, ভ্যান চালক এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। শুধু তাই নয়, স্বাক্ষর করতে আড়ষ্ট এমন বহু মানুষও ১২০ টাকা দিয়ে সদস্য হয়েছেন। গ্রন্থাগারের বর্তমান পরিচালন সমিতি বামেদের। সমিতির সম্পাদক পেশায় চিকিৎসক সুব্রত মাইতির দাবি বামেদের হঠাতেই পরিকল্পিত ভাবে এমনটা করছে তৃণমূল। তিনি বলেন, “শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গে যোগ নেই এমন মানুষদেরও সদস্য করা হয়েছে। এটা শুধু দুঃখজনকই নয়, রবীন্দ্র নামাঙ্কিত গ্রন্থাগারের পক্ষে লজ্জার।” তৃণমূলের মহিষাদল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মাইতির পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএম এত দিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বেছে সদস্যপদ দিত। নির্বাচনের কথা আদৌ ভাবত না। আমরা চাই গ্রন্থাগার সকলের কাছেই উন্মুক্ত হোক।” তাঁর যুক্তি, বর্তমান সাংসদ এই গ্রন্থাগারের আমূল সংস্কার করেছেন। আরও উন্নয়ন করতে পরিচালন সমিতি আমাদের দখলে আনা দরকার। তিনি বলেন, “আমরা সাংগঠনিক ভাবে এলাকায় বলেছি গ্রন্থাগারে সদস্য হওয়ার জন্য।” |
|
|
|
|
|