ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই শুরু করেছে। চলছে ওয়ার্ড ভিত্তিক বৈঠক। এই সব বৈঠকেই প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে। প্রস্তাব আসছে, ভোটের ময়দানে যাঁরা পরিচিত মুখ, তাঁদের একাংশকে সরিয়ে ছাত্র-যুব সংগঠনের অন্তত এক-দু’জনকে প্রার্থী করা হোক। এ ক্ষেত্রে সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেস সব দলই এক পংক্তিতে।
আগামী নভেম্বরে মেদিনীপুর পুরসভায় নির্বাচন। সেখানেই নতুনদের প্রার্থী করার দাবি জোরালো হচ্ছে। কংগ্রেসের শহর সভাপতি সৌমেন খান বলেন, “আমাদের দলে বরাবরই ছাত্র-যুবদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ বারের প্রার্থী তালিকাতেও নিশ্চিত ভাবে কিছু নতুন মুখ থাকবে। মঙ্গলবার রাতে তিনটি ওয়ার্ডে বৈঠকে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে।” সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর বক্তব্য, “নতুন কিছু মুখ থাকবেই।” তৃণমূলের শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যাও বলেন, “আমরা ওয়ার্ড ধরে ধরে আলোচনা করছি। সংরক্ষণের জন্য কয়েকজন কাউন্সিলর নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। এই সব ওয়ার্ডে তো নতুন মুখ আনতেই হবে।” বিজেপি আবার প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কর্মীদের দলের কাছে আবেদন করতে বলেছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত আবেদন আসা চাই। পরবর্তীকালে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে, সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। দলের শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “আমাদের প্রার্থী তালিকাতে নতুন মুখ নিয়ে দলে আলোচনা চলছে।” রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য, যাঁকে প্রার্থী করা হচ্ছে, এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কতটা রয়েছে, এলাকার মানুষ তাঁকে কেমন চোখে দেখেন এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হয়। দলীয় সূত্রে খবর, ছাত্র পরিষদের এক নেতা প্রার্থী হতে চেয়ে ইতিমধ্যে দলের কাছে আবেদন করেছেন। সিপিএমও এসএফআইয়ের এক নেতাকে প্রার্থী করতে পারে। অন্য দিকে, প্রার্থী হিসেবে একাধিক ছাত্র-যুবর নাম তৃণমূলের আলোচনায় উঠে আসছে।
২০০৮ সালের ২৯ জুন রাজ্যের অন্য ১২টি পুরসভার সঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। সাধারণত, পুরনো বোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর আগেই পুর-নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, এ বার তা হয়নি। ফলে, বোর্ডের মেয়াদ শেষে পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্ত। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে জেলার সদর শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫টি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্য সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ড। ফলে কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাইয়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে। তারমধ্যেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা সারতে ব্যস্ত সব দলই। |