|
|
|
|
অচল টিকিট মেশিন, ডিআরএমকে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্টেশনে ৪টি কাউন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ১টি প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে কখনও-সখনও খোলে। ৪টি অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিনও (এটিভিএম) মাঝেমধ্যে অচল হয়ে পড়ে। দ্রুত মেরামত হয় না। ফলে, চরম সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। মেদিনীপুর স্টেশনের এমনই কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে ডিআরএমের (খড়্গপুর) দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা মেদিনীপুর বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম আহমেদ।
বুধবার তিনি ডিআরএমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সমস্যার কথা জানান। সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে কিছু দাবিও জানানো হয়। প্রাক্তন পুরপ্রধানের বক্তব্য, সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান জরুরি। না- হলে টিকিট কাটতে এসে যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। কখনও কখনও টিকিট পেতে দেরি হওয়ায় নির্দিষ্ট ট্রেনেও উঠতে পারছেন না যাত্রীরা। তাঁদের হয়রান হতে হচ্ছে। সমস্যার কথা মানছেন রেল কর্তৃপক্ষও। |
|
মেদিনীপুর স্টেশনে বন্ধ টিকিট কাউন্টার। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
তবে তাঁদের বক্তব্য, কর্মীর সংখ্যা তুলনায় কম রয়েছে। ফলে, সব কাউন্টার সব সময় খোলা রাখা সম্ভব হয় না। অন্যদিকে, এটিভিএমগুলো এক সংস্থা দেখভাল করে। অচল হলে সেই সংস্থারই দ্রুত মেরামত করার কথা। কেন টিকিটের জন্য সমস্যায় পড়তে হবে যাত্রীদের? এটিভিএমগুলো অচল হয়ে থাকবে? ডিআরএম (খড়্গপুর) গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দু’টি এটিভিএম চালু করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, প্রাক্তন পুরপ্রধানের কাছ থেকে সমস্যার কথা শোনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন ডিআরএম। কেন এমন পরিস্থিতি, তা জানতে চান আধিকারিকদের কাছে। আধিকারিকেরাও দ্রুত পদক্ষেপ শুরু করেন। তড়িঘড়ি এটিভিএম মেরামত করা হয়। প্রাক্তন পুরপ্রধান বলেন, “সমস্যাগুলো জানানোর জন্যই ডিআরএমের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ১টি কাউন্টার প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। এটিভিএমগুলোও মাঝেমধ্যে অচল হয়ে পড়ে। দ্রুত মেরামত করা হয় না। এরফলে, যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েন। ডিআরএম সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা খুশি।” |
|
|
|
|
|