|
|
|
|
| |
| পুরভোটে কাঁটা এখন মেদিনীপুর |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মেঘ কাটার কোনও লক্ষ্মণ নেই। এরই মধ্যে রাজ্যের ১৩টি পুরসভার নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ, এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার মেদিনীপুর পুরসভার ভোট করতে চাওয়ায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, কমিশন যদি চিঠি দিয়ে জানায়, তারা ৭ সেপ্টেম্বরে মেদিনীপুরে ভোট করতে পারবে না, তা হলে ওই পুরসভা বাদ দিয়েই নতুন প্রস্তাব পাঠানো হবে।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ১৩টি পুরসভার নির্বাচন করার জন্য গত সপ্তাহে কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের পুর দফতর। সেই তালিকায় আছে মেদিনীপুর পুরসভা। কমিশন সূত্রের খবর, মেদিনীপুর পুরসভার এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে। ওই পুরসভায় ২৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। এলাকা পুনবির্ন্যাসের পরে ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে হবে ২৫টি। কমিশনের বক্তব্য, যে হেতু রাজ্য সরকার ১৩টি পুরসভার নির্বাচনই ৭ সেপ্টম্বর করতে বলেছে, তাই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
জটিলতা কাটাতে সরকারের কাছে কমিশন জানতে চেয়েছিল, মেদিনীপুর পুরসভার বর্তমান ২৪টি ওয়ার্ড নিয়েই ভোট হবে, না কি সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর ২৫টি ওয়ার্ড নিয়ে ভোট করতে চায় রাজ্য? উত্তরে সরকার জানিয়ে দেয়, সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরেই তারা ভোট করার পক্ষে। কমিশনের বক্তব্য, পুনর্বিন্যাস না করে বর্তমান কাঠামোয় (অর্থাৎ ২৪টি ওয়ার্ড নিয়ে) ভোট হলে সমস্যা হতো না। কিন্তু ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের পরে মেদিনীপুর পুরসভার ভোট করতে হলে ন্যূনতম ১১৩ দিন সময় লাগবে, যে সময়টা ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাওয়া সম্ভব নয়। ৭ সেপ্টেম্বর ভোট করতে হলে হাতে রয়েছে মাত্র ৭৬ দিন।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে কমিশনের এক কর্তা জানান, সীমানা পুনর্বিন্যাস করতে হলে জেলাশাসকের কাছে প্রথমে একটি খসড়া জমা দিতে হয় পুরসভাকে। সেই খসড়া জেলাশাসক সঠিক মনে করলে তিনি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাধারণের কাছে জানতে চাইবেন, এই নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি ও দাবি আছে কি না। এ জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। তার পরেই সীমানা পুনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন জেলাশাসক। তা জানিয়েও দেবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এর পরে ওই পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের জন্য পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। সেই বিষয়ে আপত্তি ও দাবি জানানোর জন্য কমপক্ষে ৭ সপ্তাহ বা ৭০ দিন সময় দিতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে তবেই নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তি জারির দিন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত ন্যূনতম ২৮ দিন তো লাগবেই। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১১৩ দিন। এই প্রক্রিয়া মানলে তাই ৭ সেপ্টেম্বরে মেদিনীপুরে ভোট করা সম্ভব নয়।
তা হলে উপায়? কমিশন মনে করে, রাজ্য সরকার যদি মেদিনীপুর পুরসভাকে তালিকা থেকে বাদ রাখে, তা হলে বাকি ১২টি পুরসভার নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বর করতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সরকার যে হেতু মেদিনীপুর-সহ ১৩টি পুরসভার ভোট একসঙ্গে করার প্রস্তাব দিয়েছে, তাই এই নির্বাচন নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মেদিনীপুর পুরসভার জন্য ৭ সেপ্টেম্বর ১৩টি পুরসভার ভোট করা যাবে না বলে কমিশন চিঠি দিয়ে জানাক। আমরা মেদিনীপুর বাদ দিয়েই ভোটের প্রস্তাব দিয়ে নতুন চিঠি পাঠিয়ে দেব।” কমিশন সূত্রে এই নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা না হলেও আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, কমিশনের এ ভাবে চিঠি দেওয়ার সংস্থান আইনে নেই।
তাই পরিস্থিতি রইল সেই তিমিরেই।
|
হুমকি ফোন, গ্রেফতার যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
| মোবাইলে মাওবাদীদের নাম করে হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগে শুক্রবার বিনপুরের চাঁপাবনি থেকে এক যুবককে ধরল পুলিশ। ধৃতের নাম অশোক রানা। বাড়ি ওই এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে গোপীবল্লভপুরের দুই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে মাওবাদীদের নাম করে লক্ষাধিক টাকা দাবি করে হুমকি ফোন আসে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পুলিশ অশোক রানাকে গ্রেফতার করে। |
|
|
 |
|
|
