বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় নজরদারির ‘অভাবে’র জেরে উত্তরায়ণ কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। বুধবার একটি প্রেস রিলিজে এ কথা জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত দায়িত্বে গাফিলতির জেরে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে নিজস্ব তদন্ত শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি নোবেল পদক উদ্ধারে সিবিআই ‘ব্যর্থতা’ প্রসঙ্গ তুলে ধরে, এরকম পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী এলাকায় বারে বারে পুলিশের আনাগোনা আশ্রমের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাই নিজের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিভাগের ওপর আস্থা রেখে তদন্তের বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে কর্তৃপক্ষ পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে না বলে বুধবার বিকেলে দেওয়া ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্তবাবু। |
গাছ গিয়েছে চুরি। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
এ দিকে, বিজ্ঞপ্তি জারির ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স লাগোয়া লালবাঁধের জল থেকে উদ্ধার হল চুরি যাওয়া চন্দন গাছ। বিশ্বভারতীর মিডিয়া ইন্টারফেস কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন বলেন, “বিশ্বভারতীর মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক ইউ পি সিংহ এবং নিজস্ব নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীদের উদ্যোগে চন্দন গাছ উদ্ধার হয়েছে। হয়ত এ রকম খুঁজতে খুঁজতে এক দিন আমরা নোবেল পদকটাও ফিরে পাব।”
প্রসঙ্গত, লোহার তারের বেড়া কেটে দু’টি চন্দন গাছ চুরির বিষয় জানাজানি হয়। দায়িত্বে গাফিলতির কারণে ৪ নিরাপত্তা কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই রাতে দায়িত্বে থাকা এক জন এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে অন্যত্র সরানোর আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বিভাগ। |