প্রায় দিনই রাস্তাগুলিতে আলো জ্বলে না। অন্ধকার নামলেই গা ছমছম পরিবেশের সৃষ্টি হয় সিউড়ি পুরসভার বেশ কয়েকটি রাস্তায়। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাস, ওই সব রাস্তাগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে শীঘ্রই।
সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের মুখ থেকে যাত্রিক ক্লাবের রাস্তাটি চলে গিয়েছে পুলিশ লাইন হয়ে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে। ৫ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জংশন ওই রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন আলো জ্বলেনি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বীকার করে নিয়েছেন, ওখানো ছোটখাটো ছিনতাই হয়, পথচলতি মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা হয়। |
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিউড়ি-সাঁইথিয়া রাস্তায় অকেজো জোড়া বাতি।
ভরসা সেই চাঁদের আলো।—নিজস্ব চিত্র। |
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি হোম থেকে কলেজে যাওয়ার প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তাতেও কম আলো থাকে। তেমনি সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ সুুপারের অফিস পর্যন্ত জেলের পিছনের দিকে প্রায় ৭০০ মিটার রাস্তায় রয়েছে একটি ভ্যাপার লাইট ও তিনটি টিউব লাইট। টিউবলাইটগুলি দীর্ঘদিন ধরে জ্বলে না। ওই রাস্তার দু’পাশে শতাধিক দোকান রয়েছে। বেশিরভাগই কাপড়ের দোকান। রাত সাড়ে ৮টার পরে দোকানগুলি বন্ধ হয়ে গেলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের লালকুঠি পাড়ার মালফটক ও জহর মিশ্রের বাড়ির সামনের গলির রাস্তায় টিউব লাইটগুলি গত জুন মাস থেকে জ্বলে না। মালফটক দিয়ে বহু যাত্রী টিউশন পড়তে যায়। ফেরার পথে তাদের ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। জহর মিশ্রের বাড়ির সামনের গলি দিয়ে টর্চ জ্বেলে ভোরে মসজিদে যেতে হয় বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দা হাজি মসিউল আলম ও কাজি নজরুল ইসলাম। পুরপ্রধান উজ্জ্বলবাবু বলেন, “রাস্তার আলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দু’জন ঠিকাদার আছেন। কিন্তু টাকা না থাকার জন্য গত ৫ মাস ধরে তাঁদের বকেয়া মেটানো যায়নি। তবে তাঁরা শীঘ্রই কাজ শুরু করবেন বলে কথা হয়েছে।” |