একশো দিনের কাজে বাধা দেওয়া ও দিন মজুরদের মারধর করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। বুধবার সকালে ওই পঞ্চায়েতের ১ নম্বর সংসদ বনগ্রামে নর্দমা করার কাজ হচ্ছিল। অভিযোগ, লাঠি ও অস্ত্র হাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা, সিপিএমের রেখা বিত্তার দল নিয়ে এসে তাঁদের উপর চড়াও হয়। মহিলা-সহ কয়েক জন আহত হয়েছেন। দু’জনকে সিউড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সিপিএমের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্যা সুপারভাইজারের কাছে জানতে গিয়েছিলেন, তাঁকে না জানিয়ে কেন ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে? এতেই তৃণমূল সমর্থিত লোকজন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তার পরেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তাদেরও কয়েক জন আহত হয়েছে বলে দাবি সিপিএমের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে এ দিন ১৬০ জন মাটি কাটার কাজ করছিলেন। সুপারভাইজার অপূর্ব মণ্ডলের অভিযোগ, “কোথাও কিছু নেই। হঠাৎ পঞ্চায়েত সদস্যা ও সিপিএমের বেশকিছু লোক এসে ঝামেলা পাকায়। সংখ্যায় কম করে ১৫০-২০০ জন হবে। লাঠি, অস্ত্র হাতে তৈরি হয়েই এসেছিল।” সিপিএমের সাঁইথিয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক জুরান বাগদি বলেন, “ওই সংসদে পঞ্চায়েত সদস্যাকে বাদ দিয়েই সব কাজকর্ম চলছিল। উনি খোঁজখবর নিতে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। ওরাই ওই সদস্যাকে মারধর করেছে। প্রতিবাদ জানাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।” পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। মৃতেরা হল রামপুরহাট থানার কৌরবেলে গ্রামের দীপালি লেট (১৫) এবং ওই থানার দানগ্রামের রুনা খাতুন (১৫)। পুলিশ জানায়, রুনা মামার বাড়িতে থাকাকালীন অত্যচার কীটনাশক খেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃতার পরিবারের পক্ষে বাদাম শেখ জানান, দীর্ঘদিন আগে রুনার মাকে খুনের দায়ে বাবা ও ঠাকুমার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। রুনা রামপুরহাটে পিসিমার কাছে থাকত। দু’মাস আগে মাড়গ্রাম থানার কালুহা গ্রামে রুনাকে তার মামারবাড়িতে নিয়ে যায় তার দাদুরা। জ্যেঠু আবু বাক্কারের অভিযোগ, “নানান কাজের অজুহাতে রুনার প্রতি শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত মামারবাড়ির লোকেরা। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়েছে সে।” পুলিশ জানায়, ঘটনা তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা পলাতক। অন্য দিকে, পারিবারিক কারণে দীপালি কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
|
পঞ্চায়েত থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বেঁধে চার ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল একটি গ্রামের কিছু লোকের বিরুদ্ধে। তাঁদের উদ্ধারে গেলে পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার দুপুর ঘটনাটি ঘটে মহম্মদবাজার থানার গণপুর পঞ্চায়েতের উলপাহাড়ি জঙ্গলের কাছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডামড়া গ্রামের তিন উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র ও এক বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র কাজে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন। বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র রঘুনাথ ঘোষ বলেন, “হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় জঙ্গলের কাছে একটি চার্চের বারান্দায় আশ্রয় নিই। ওখানে গ্রামের কিছু যুবক মদ, মাংস খাচ্ছিল। ওদের মধ্যে এক জন আমাদের কাছে বিড়ি, টাকা চায়। না দিতে পারায় ওরা মারধর করে। খবর পেয়ে আমাদের পরিবারের লোকেরা আসেন। তাঁদেরও মারধর করা হয়।”
|
দু’টি লরির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক লরি চালকের। ওই ঘটনায় জখম হয় আরও তিন জন। তাঁদেরকে প্রথমে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে মৃত লরি চালকের সঠিক পরিচয় জানা যায়নি। মঙ্গলবার রাতে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, রামপুরহাট থানার জয়রামপুর সেতুর উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। অন্য দিকে, মোটরবাইকের ধাক্কায় জখম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট থানার কুশুম্বা ও কাদাসিন গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাঁচ জন জখম হন। এ দিকে, ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশের গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়। চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
|
আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের মধ্যে ভোট প্রচার শেষ করতে হবে সব রাজনৈতিক দলকে। তার আগে বুধবার বিকেল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দুবরাজপুরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার সারলেন। এ দিন এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রত্যেকেই তাদের দলকে ভোটে জেতানোর আর্জি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এক রাজনৈতিক দলের নেতা আর এক রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছেন।
|
ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক বধূর। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম সীমা সোরেন (৩০)। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
বাসে কেপমারি করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক যুবক। বুধবার বিকেলের ঘটনা। |