টুকরো খবর |
পড়শির মুণ্ডু কেটে ধৃত বৃ্দ্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বচসায় পড়শির মুণ্ডু কেটে খুনের ঘটনায় ফেরার এক অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ। ধৃত বছর সাতষট্টির বৃন্দাবন সিংহের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানার জরিঘাটি গ্রামে। সোমবার ওড়িশার সীমানা লাগোয়া নয়াগ্রামের ভালুকবাসার জঙ্গল থেকে তাঁকে ধরে পুলিশ। মঙ্গলবার বৃন্দাবনবাবুকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে চার দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। গত ৩১ অগস্ট দুপুরে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী রঞ্জিত সিংহের (৪০) সঙ্গে বচসা শুরু হয় বৃন্দাবনবাবুর। রঞ্জিতবাবুর পড়শি বৃন্দাবন সিংহের উঠোনের এক নিম গাছের ডাল ছড়িয়ে গিয়েছিল রঞ্জিতবাবুর বাড়ির দিকে। বৃন্দাবনবাবুকে ডাল ছাঁটতে বলেছিলেন রঞ্জিতবাবু। কিন্তু বৃন্দাবনবাবু তা শোনেনি। ঘটনার দিন রঞ্জিতবাবু নিজেই ডাল ছাঁটতে শুরু করেন। খেপে যান বৃন্দাবনবাবু। বচসা শুরু হয়। রাগের মাথায় বৃন্দাবনবাবু কুড়ুলের কোপে রঞ্জিতবাবুর মাথা কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ।
|
ফের জেল হেফাজতে গেলেন সুকুর আলি
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
চন্দ্রকোনায় তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা সুকুর আলিকে মঙ্গলবার ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ হয়। এ দিন বিচারক রীনা তালুকদার ওই রায় দেন। সম্প্রতি সুকুর আলি নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডে তমলুক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপরই চন্দ্রকোনা থানার মহেষপুরের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী আফতাবউদ্দিন ভাঙি খুনে অভিযুক্ত সুকুর আলিকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে ঘাটাল আদালতে আবেদন করে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। উল্লেখ্য, সুকুর আলিকে ঘাটাল আদালতে আনার দিনই যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা তাঁর জামিনের বিরোধিতা-সহ ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন। রবিবারও তাঁরা সুকুরকে জেলের মধ্যে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখান। যদিও তা মানতে চায়নি চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।
|
পুরনো খবর: সুকুর আলির পুলিশি হেফাজত
|
তরুণীর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম থানার মানিকপাড়া অঞ্চলের পূর্ব ললিতাশোল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রবনি সহিস (২২)। এ দিন দুপুরে বাড়িতে একাই ছিলেন অবিবাহিতা রবনি। তাঁর বাবা ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন। রবনির মা ও দুই বোন মাঠে চাষের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আচমকা রবনিদের খড়ের ছাউনির মাটির বাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তে গোটা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রবনিকে উদ্ধার করেন। রবনিকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পড়শিদের কয়েকজন জানিয়েছেন, রবনি বাড়ির দাওয়ায় বসে রান্না করছিলেন। সে সময় কোনও ভাবে বাড়ির খড়ের চালে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অবশ্য জেনেছে, রবনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। কীভাবে বাড়িটিতে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
|
অপহরণের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বধূ নির্যাতনের মামলা চলছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। জামিনে মুক্ত ওই যুবক স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ভাইকে অপহরণের অভিযোগ জানালেন থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেতুলিয়া চকলালপুরের শহিদুলের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা চলছে আদালতে। গত কাল শহিদুল থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর ভাই জাইদুলকে সোমবার বাজকুল থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী ও শাশুড়ি। ভগবানপুর ১ ব্লকের নারানদাঁড়ি গ্রাম থেকে শাশুড়ি শপুন বিবি ও স্ত্রী মিনা বিবিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আদালত ধৃত সকলকেই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
|
নির্যাতনে গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
মামিকে নির্যাতনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত সুব্রত ঢুলিয়া সুতাহাটা থানার চৈতন্যপুরের বাসিন্দা। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট সুব্রত মায়ের সঙ্গে মামবাড়িতে থাকেন। তাঁর মামি রীনা লুড়কি সম্প্রতি থানায় নির্যাতন ও মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের ছেলের বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্তেরা পলাতক। পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুব্রতকে গ্রেফতার করে। আজ, বুধবার তাঁকে হলদিয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করা হবে।
|
নন্দীগ্রাম নিয়ে সিবিআই-রাজ্য দ্বন্দ্ব |
নন্দীগ্রামে গুলিচালনার তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতবিরোধ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে সিবিআইয়ের কাছে ওই তদন্ত সংক্রান্ত কিছু নথি চেয়েছিল সরকার। সিবিআই তা দেয়নি বলে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে জানান সরকারি আইনজীবী। আদালত সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, নথি দিতে আর কত দিন লাগবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও কিছুটা সময় চান। হাইকোর্ট জানায়, ফের শুনানি হবে ৭ অক্টোবর। সিবিআই এর আগে কিছু পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করার জন্য রাজ্যের অনুমতি চেয়েছিল। সরকার অনুমতি না-দিয়ে বলে, সিবিআইয়ের তদন্তে তারা খুশি নয়। অন্য কয়েক জন পুলিশ অফিসার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে হবে। সিবিআই হাইকোর্টে মামলা করে জানায়, তারা নিজেদের এক্তিয়ারে কাজ করে এবং তদন্তের অগ্রগতি দেখে ঠিক করে, কাকে গ্রেফতার করা হবে। সিবিআইকে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসে সমাধানসূত্র খুঁজতে বলেছিল আদালত। বৈঠকে সিবিআইয়ের কাছে নথি চায় সরকার। সিবিআই তা দেয়নি।
|
পুরনো খবর: নন্দীগ্রাম কাণ্ডে বুদ্ধদেবকে ছাড় দিল সিবিআই
|
সুশান্তের মামলা নিল হাইকোর্ট |
গড়বেতার বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল উদ্ধার নিয়ে কেস ডায়েরি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ ওই কঙ্কাল কাণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টে যে-মামলা করেছেন, মঙ্গলবার বিচারপতি অসীম রায় সেটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। সরকারি আইনজীবীরা ওই বিধায়কের আবেদনের বিরোধিতা করে জানান, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সুশান্তবাবুকে তাতে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। বাবার মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন ছেলে। তাই এই মামলা নতুন করে শোনার অবকাশ নেই। সুশান্তবাবুর আইনজীবী জানান, বেনাচাপড়ার ঘটনা নিয়ে দু’টি এফআইআর করা হয়েছিল। তার কোনওটিতেই অভিযুক্ত হিসেবে সুশান্তবাবুর নাম ছিল না। বিচারে সকলেই খালাস পেয়ে যান। এ বার নতুন এফআইআরে সুশান্তবাবুর নাম ঢোকানো হয়েছে। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই এই মামলা থেকে সুশান্তবাবুকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। বিচারপতি জানান, পুজোর পরে মামলার শুনানি হবে।
|
পুরনো খবর: ৭ দিন সিআইডির হাতে প্রাক্তন মন্ত্রী
|
দিল ডাক... |
|
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানো হল ভোটারদের সচেতন করতে। ঘুড়িতে (ইনসেটে) লেখা ‘চলো, নাম তুলি, দেশ গড়ি’, ‘আমজনতার শ্রেষ্ঠ অধিকার, সর্বজনীন ভোটাধিকার’। জেলার ওসি (ইলেকশন) বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুড়ি ওড়ানো হয়েছে।” জেলার জন্য সব মিলিয়ে ৬০০ ঘুড়ির বরাত দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে কালেক্টরেট ক্যাম্পাসে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। লাটাই-সুতো হাতে দেখা যায় মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তকে।
|
ভগ্নদশা |
|
ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
জামবনির চিল্কিগড়ে পোড়ামাটির প্রাচীন এই মন্দিরটি যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে। চিল্কিগড়ের বিখ্যাত কনকদুর্গা মন্দিরের পাশেই রয়েছে কয়েকশো বছরের পুরনো এই মন্দিরটি। জনশ্রুতি, এক সময় চিল্কিগড়ের এক ব্রাহ্মণ রাজার উদ্যোগে এই মন্দিরে বিষ্ণু পুজো হত। পুজোপাঠের পালা চুকেছে বহুদিন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত মন্দিরটি এখন বিপজ্জনক। |
|