|
|
|
|
কজওয়ের জন্য বরাদ্দ অবশেষে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
অবশেষে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের দু’নম্বর চাতালে (কজওয়ে) সেতু তৈরির প্রস্তুতি নিল প্রশাসন। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা খাত থেকে ইতিমধ্যেই ওই সেতুর জন্য ১০ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, পুজোর পরই সেতুর কাজ শুরু হবে।
ফি বছরই বৃষ্টিতে বা ব্যারাজের ছাড়া জলে জলমগ্ন হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। মহকুমার অন্য সড়কগুলির মতো ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কও জলের তলায় চলে যায়। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সমস্যার সমাধানে প্রায় চার দশক ধরে মাস্টার প্ল্যানের কথা বলে আসছিলেন রাজনৈতিক নেতারা। এত দিনে তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। সংবাদমাধ্যমে ঘাটালের জলমগ্ন এলাকার দুর্দশার কথা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে ফোন করে বিষয়টি বিশদে জেনেছিলেন। |
|
২ নম্বর চাতাল। —নিজস্ব চিত্র। |
জানা গিয়েছে, তখন শঙ্করবাবু দু’নম্বর চাতালে ফের সেতু তৈরির আর্জি জানান। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘাটাল আসেন কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তিনি দু’নম্বর চাতালটি ঘুরে দেখেন। তখনও ওই চাতালে যান চলাচল বন্ধ ছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এরপরই তড়িঘড়ি সেতুর জন্য পূর্ত দফতরকে ড্রয়িং করে পাঠানোর নির্দেশ আসে।
দফতরের সহকারি বাস্তুকার দীপঙ্কর জানা বলেন, “দু নম্বর চাতালে সেতু ছাড়াও একটি কার্লভাট ভেঙে বক্স কার্লভাট করা হবে। কাজ শুরুর পর দু’বছরের মধ্যে তা শেষ করার কথা।” দফতর সূত্রের খবর, সেতুটি লম্বায় ৩০০ ফুট এবং চওড়ায় ৩৮ ফুট হবে। সেতু তৈরির সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে সেতুর কাছেই ৩৫০ মিটার একটি অস্থায়ী নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। ওই রাস্তাটি ৩ নম্বর সেতুর কাছে গিয়ে উঠবে। বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “আমার আবেদন যে মুখ্যমন্ত্রী রেখেছেন, তার জন্য খুব ভাল লাগছে!” |
|
|
|
|
|