সানরাইজার্স মাঠে নামার আগে কপিল দেব বলছিলেন, “শিখর এসেছিল দেখা করতে। ওর সঙ্গে কথা বলব কী। দূর থেকে বোঝা যায় না। কিন্তু কাছ থেকে আমি তো ওর মাসল দেখে থ।” কে জানত কপিলের ‘মাসলম্যান’ই কিছুক্ষণ পরে পিসিএ স্টেডিয়ামে এ ভাবে ঝড় তুলে দেবেন! যার জেরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আট উইকেটে উড়িয়ে দেবে তাঁর আইপিএল ক্যাপ্টেন কুমার সঙ্গকারার টিম কান্দুরাতা মারুনসকে।
৫৩ বলে ৭১ রান (১১টা চার)। শিখর ধবনের এই ঝোড়ো ইনিংসে ম্লান হয়ে গেল সঙ্গকারার (৪৬ বলে ৬১ ন. আ.) দুরন্ত ব্যাটিংও। লাহিরু থিরিমানে (৫৪) আর সঙ্গকারার লড়াইয়ে কান্দুরাতার ১৬৮-৩ তাড়া করতে অবশ্য শিখরকে যোগ্য সঙ্গত দেন পার্থিব পটেলও (৫২)। তবে শেষ কামড়টা দেন সঙ্গকারার সতীর্থ থিসারা পেরেরা। তাঁর ১১ বলে ৩২ রানের দাপটে ৯ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় হায়দরাবাদ (১৭৪-২)। |
প্রথম কোয়ালিফায়ারে মিসবা উল হকদের ধাক্কা ব্রেন্ডন ম্যাকালামের টিমের। স্টেডিয়ামে ভারতীয় ফ্যানদের টানা সমর্থনের মধ্যেও ফয়সালাবাদ উলভসকে প্রথম ম্যাচে আট উইকেটেই উড়িয়ে দিল ওটাগো ভোল্টস। পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন টিমের দুর্দশার সবচেয়ে বড় কারণ ওটাগোর চার ফাস্ট বোলারদের সামনে ব্যাটসম্যানদের দাঁড়াতেই না পারা। টিমের রান লড়াই করার জায়গায় নিয়ে যেতে অধিনায়ক মিসবাই (৩৪ বলে ৪৬) যা কিছুটা সফল। তবে মিসবার ব্যাট যাই বলুক তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠে গেল আবার। টস জিতলেও পিচ বুঝতে ভুল করেন মিসবা। যার খেসারতও দিতে হল। প্রথমেই তাঁর ব্যাট করার সিদ্ধান্ত মাঠে নামার আগেই ওটাগোকে এগিয়ে দিয়েছিল। |
ওটাগোর চার ফাস্ট বোলারের কারও ইকনমি রেটই সাত ছোঁয়নি। উলটে সাত উইকেট ভাগাভাগি করে নেন তাঁরা। যার দাপটে ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৩৯ রানেই শেষ ফয়সালাবাদ। ওটাগোর বোলাররা যে কাজটা শুরু করেছিলেন, শেষ করলেন ম্যাকালাম। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ওটাগো অধিনায়ক এ দিন কিন্তু আগাগোড়া নিজের ইনিংস নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। অযথা ঝুঁকি না নিয়ে মারার বলে রান তুলে গিয়েছেন। পাঁচ ওভারের মধ্যেই দু’উইকেট চলে গেলেও ম্যাকালামের এই নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংই ফয়সলাবাদের বোলারদের আর দাঁত ফোটানোর সুযোগ দেয়নি। ৬৫ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসে (ন’টা চার ও দু’টো ছয়) ম্যাকালাম শেষ পর্যন্ত ১৩ বল বাকি থাকতেই ১৪২ রান তুলে ম্যাচ মুঠোয় পুরে নেন।
|