|
|
|
|
স্বপ্ন দেখাতে চাই গরিবদের: রাহুল |
সংবাদ সংস্থা • জয়পুর |
ইন্দিরা গাঁধীর ‘গরিবি হটাও’-এর মতো আম আদমির পাশে থাকাই আপাতত ‘থিম সং’ কংগ্রেসের। আজ রাজস্থানের বারান শহরের জনসভায় সে কথা ফের প্রমাণ করে দিলেন রাহুল গাঁধী। বিরোধীরা কেবল ধনীদের জন্যই কাজ করে বলে নাম না করে নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষও করেছেন তিনি।
১০ সেপ্টেম্বর রাজস্থানে একটি জনসভা করেছেন মোদী। আজ বারানে রাহুল বলেন, “অনেকেই বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা কাজ করি। যাতে আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম স্বপ্ন দেখতে পারে।” খাদ্য নিরাপত্তা বিল ও ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প সংসদে পাশ হওয়ার সময়ে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, “গরিবদের জন্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে ওঁরা টাকার অভাবের কথা বললেন। অথচ খনি বণ্টন বা জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কেউ কোনও কথা বলেন না।” রাহুলের দাবি, বিরোধীরা দেশের হাতে গোনা মানুষের ভাল চান। চান কেবল ওই কয়েক জনই বিমানে চড়ুন, গাড়িতে ঘুরুন। আগে কংগ্রেসের স্লোগান ছিল, “আধি রোটি খায়েঙ্গে, কংগ্রেস কো লায়েঙ্গে”। রাহুলের কথায়, “খাদ্য নিরাপত্তা বিলের পরে এখন আমাদের স্লোগান পেট ভর রোটি খায়েঙ্গে, কংগ্রেস কো জিতায়েঙ্গে।” |
|
বারানের জনসভায় রাহুল গাঁধীকে অভ্যর্থনা। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই। |
জমি অধিগ্রহণ বিলেরও প্রশংসা করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, কৃষকের ছেলেমেয়েরা যাতে স্বপ্ন দেখতে পারেন সে জন্যই ওই আইন সংশোধন করেছে কেন্দ্র। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য পঞ্চায়েতি রাজ আইন আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। রাহুলের কথায়, “আমরা চাই গ্রাম থেকে সরকার চলুক।”
রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার সেচ ও পানীয় জলের প্রয়োজন মেটাতে জল সরবরাহের যোগ্য ব্যবস্থা করেছেন বলে মনে করেন রাহুল। বছরে একটি ফসলের বদলে এ বার দু’টি বা তিনটি ফসল পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন তিনি। রাহুলের মতে, দেশে পরিকাঠামো গঠনের প্রয়োজনের কথা কংগ্রেস ও বিরোধী- দু’পক্ষই স্বীকার করে। কিন্তু, কারা সেই পরিকাঠামো ব্যবহার করবেন তা নিয়েই মতভেদ। তাঁর কথায়, “রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা সাধারণ মানুষের পেট ভরা খাবার চাই। বিমানের দিকে তাকিয়ে যেন কৃষক ভাবতে পারেন তাঁর ছেলে একদিন ওই বিমান চালাবে। এটাই কংগ্রেসের রাজনীতির মূল কথা।’’
|
পুরনো খবর: সংখ্যালঘুদের ক্ষমতা বাড়িয়েই ভোট দখলের কৌশল রাহুলের |
|
|
|
|
|