সিপিএমের ধৃত কর্মী খোকন ওরফে বিশ্বজিৎ সেনকে জেরা করে আরও দুই সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জনই বর্ধমান পুরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম শেখ হায়দর ও মদন হাজরা। দু’জনেরই বাড়ি বর্ধমান শহরের তেলমারুই পাড়ায়। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, সোমবার রাতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে একটি রিভলবার-সহ মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছ’রাউন্ড বুলেট মিলেছে। মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ দিন সকালেই সিপিএমের বর্ধমান শহর জোনাল সম্পাদক তাপস সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বর্ধমান থানায় এসে স্মারকলিপি দেয়। তাদের দাবি, দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের উপর হামলার অভিযোগও জানানো হয়েছে। এ দিনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শহরে মিছিল বের করা হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর শহরের কালনা গেটে গণ্ডগোলের ঘটনায় বিশ্বজিৎ সেনকে ধরা হয়েছিল। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতেরা সকলেই দলের মিছিল থেকে গোলমালের ঘটনায় জড়িত। তাঁদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে, আবার তাঁরা শহরে বিশৃঙ্খলা পাকানোর চেষ্টা করছিলেন।” পুলিশের হিসেব বলছে, গত অগস্ট ও সেপ্টেম্বরে শুধু বর্ধমান শহরে অভিযান চালিয়েই যথাক্রমে পাঁচ ও সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং মোট ১৯টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তার সিংহ ভাগই মিলেছে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে।
এ দিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে কংগ্রেস পদযাত্রা করে। তেলমারুই রোডে সেই পদযাত্রা শুরুর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, “বর্ধমানে বেশি হলে এই এক বারই সন্ত্রাস করে তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতা দখল করতে পারবে। পরের বারে কিন্তু মানুষ প্রতিরোধে নামবেন। তাতে ওরা চিরতরে মুছে যাবে।” এই শহর এক সময়ে কংগ্রেসকে জিতিয়ে এসেছে মনে করিয়ে দিয়ে বামেদের বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বাম আমলে সত্যিই চোখে পড়ার মত কিছু উন্নতি হয়েছে কি না, তার হিসেব চান। রাজ্যে পরিবর্তনের আড়াই বছরে বর্ধমানের মানুষ কী সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন। কংগ্রেস সুযোগ পেলে উন্নয়নের মাধ্যমে শহরের হাল পাল্টে দেবে বলে তিনি দাবি করেছেন। |