টুকরো খবর |
জোর প্রচার বালুরঘাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
পুরবোর্ডে ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক দলগুলি জলসমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার শুরু করেছে। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বালুরঘাটে এসে বাড়িতে জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীর দাবি, “বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের পুরবোর্ড ক্ষমতা এলেই দ্রুত কাজ শেষ করবে।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের বক্তব্য, “নদীর জল শোধন করে বাড়িতে পানীয় জল প্রকল্পটি কেন্দ্রের। একমাত্র কংগ্রেসই দ্রুত কাজ রূপায়ণে সক্ষম।” জল সরবরাহ নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিদায়ী বোর্ডের ক্ষমতাসীন আরএসপিকে। তাঁরা বেশ কিছু এলাকায় জল সরবরাহ কাজের খতিয়ান তুলে ধরে প্রচারে নেমেছে। তাঁদের দাবি, ৯টি জায়গায় বিশুদ্ধ জলের যন্ত্র বসানো হয়েছে। তবে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে বসানো ওই জল সরবরাহ যন্ত্রের অধিকাংশ খারাপ বলে অভিযোগ। বিদায়ী চেয়ারপার্সন তথা আরএসপি নেত্রী সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “আত্রেয়ী নদীর জল শোধন করে শহরে বাড়িতে জল সরবরাহ প্রকল্পে জলাধার তৈরি, পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরসভায় প্রশাসক বসে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শীতল জলের যন্ত্রগুলি মেরামতির দায়িত্ব প্রশাসকের।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জনবাবুর অভিযোগ, “ভোটের মুখে আরএসপি নেতৃত্ব জল নিয়ে নানা প্রচার করছেন। আমরা নাগরিকদের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরছি।”
|
মালবাজারে চিন্তায় শিল্পী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
বায়না নিয়ে উদ্বেগে মালবাজারের মৃৎশিল্পীরা। এক দিকে, গত বছরের তুলনায় প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়েছে। অন্য দিকে, পাহাড়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে সেখান থেকেও প্রতিমার বায়না আশানুরূপ নয় বলে মৃৎশিল্পীদের দাবি। চড়া দামে মাটি, জরির কাপড়, রং কিনেও পাহাড়ের বরাত না আসার জন্য তাই উদ্বেগ বেড়েছে শিল্পীর। সুভাষ মোড়ে ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিমা গড়েন অরুণ পাল। ফি বছর পাহাড়ে ২০টির বেশি প্রতিমা জোগান দেন। তাঁর কথায়, “১টিও বায়না আসেনি। কাশির্য়াঙ, গরুবাথান, আপার ফাগু, ঝালং, বিন্দু থেকে প্রতিমার বায়না আসত। বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই সব প্রতিমার বায়না হয়ে যেত। এখন তো পাহাড়ে বন্ধ উঠে গিয়েছে, বায়নার অপেক্ষায় আছি।” মৃৎশিল্পী কাজল পাল বলেন, “গত বছর এক ট্রাক মাটি ছিল ৭ হাজার টাকা। এ বার তা ১০ হাজার টাকারও বেশি হয়ে গিয়েছে। ৭ ফুট যে প্রতিমা গত বছর ৮ হাজারে বিক্রি করেছি, এ বার ২-৩ হাজার বাড়াতে হবে। পাহাড় থেকে বরাত না পেলে অবস্থা খারাপ হবে।” প্রতিমার দাম বাড়ায় চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারা।
|
তদন্ত করতে চাপ কেন্দ্রকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দের খরচ নিয়ে কোচবিহার পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তদন্ত দাবি করল প্রদেশ কংগ্রেস। দিল্লি থেকে মন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধি দলকে কোচবিহারে এসে যাতে তদন্ত করে তা কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাবে প্রদেশ কংগ্রেস। সোমবার কোচবিহার সার্কিট হাউসে দলের ওই মনোভাবের কথা স্পষ্ট করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। দেড় দশকের বেশি সময় দলের দখলে থাকা কোচবিহার পুরসভার কংগ্রেস চেয়ারম্যান-সহ সব কাউন্সিলর অগস্ট মাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ দিন প্রদীপবাবু জানান, কোচবিহার পুরসভার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ খরচ সংক্রান্ত ব্যাপারে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। দিল্লি থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়ে তদন্তের জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানানো হবে। তৃণমূল নেতা তথা পুর চেয়ারম্যান বীরেন কুন্ডু সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে দলীয় কাউন্সিলরদের পদত্যাগের পর কেন এই অভিযোগ করা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু বলেন, “পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। দলীয় স্তরে আমরা খোঁজখবর শুরু করে দিয়েছিলাম। তা টের পেয়ে পুর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দলবদল হয়েছে।” আইএসএইচডিপি জল সরবরাহ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে নেতৃত্বের কাছে জেলা নেতার একাংশ অনেক দিন আগেই অভিযোগ জানান।
|
পুর-প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্প নিয়ে দলীয় কর্মীদের পুরভোটের প্রচারে জোর দিতে বলেলেন এআইসিসির সম্পাদক শাকিল আহমেদ খান। সোমবার বালুরঘাট পুর ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে ওই বার্তা দেন কংগ্রেস পর্যবেক্ষক সাকিল আহমেদ খান। সেখানে আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস একাই লড়বে। দলীয় কর্মীদের কেন্দ্রীয় জনমুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি বলে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতি প্রসঙ্গে এআইসিসি সম্পাদক বলেন, “দেশের একতা ও সাম্প্রদায়িকতা রক্ষার মত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেছিলেন। আগামীতে হাইকম্যান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নেই।”
|
স্কুলে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
নিয়মিত পঠনপাঠন হয় না অভিযোগে স্কুলে তালা দিল ছাত্রছাত্রীরা। মালদহে হরিশ্চন্দ্রপুর মিটনা হাই স্কুলে সোমবার ঘটনাটি ঘটে। বিকাল পর্যন্ত আটক থাকেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কর্তৃপক্ষের তরফে বুধবার আলোচনায় বসার আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। উচ্চমাধ্যমিক ওই স্কুলে ১৬০০ ছাত্রছাত্রী। অনুমোদিত শিক্ষক ৩৭ জন হলেও আছেন ১৩ জন। এক জন প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছেন।
|
খুশি মতো ভাড়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
তিন বছর আগে শহরের রিকশা চালকদের নির্দিষ্ট ভাড়া ঠিক করেছিল পুরসভা। রিকশা স্ট্যান্ডগুলিতে ঝোলানো ছিল তালিকা। বহু জায়গা থেকে ওই নোটিস উধাও হয়েছে। আর রিকশা চালকেরা খেয়ালখুশি মত ভাড়া চাইছেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন অর্পিতা দত্ত বলেন, “এ নিয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
|
পিছু হটলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব সংবাদাতা • মালদহ |
ছাত্ররা উত্ত্যক্ত করার ছাত্রীর আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ দেখা দেওয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ পিছু হটল। সোমবার মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিস চৌধুরী বলেন, “আমি জেলার বাইরে আছি। মালদায় ফিরে কতৃপর্ক্ষকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের একসঙ্গে ক্লাস নেওয়ার জন্য বলা হবে। কোনওভাবেই একই ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের আলাদা দিনে ক্লাস করানো যাবে না। যদি একসঙ্গে ক্লাস না চালু করা হয়। তবে ওই স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
পদত্যাগীকে থাকার আর্জি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম রায়ের ইস্তফা-পত্র নিল না উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উত্তমবাবুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে থেকে কলেজ পরিচালনার কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীরকুমার দাস বলেন, “উত্তমবাবুর ইস্তফাপত্র আপাতত গ্রহণ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে আমি উত্তমবাবুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে থেকে কলেজ পরিচালনার কাজ করার অনুরোধ করেছি। পরে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব।” গত শনিবার উত্তমবাবু অস্থায়ীভাবে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন বাংলার শিক্ষক মিলনকুমার রায়কে।
|
নতুন অফিস চালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
কোচবিহারের মাথাভাঙায় চালু হল পরিবহণ দফতরের অফিস। সোমবার জেলা সহকারি আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের ওই অফিসের উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। জেলা আধিকারিক তাপস বিশ্বাস জানান, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জের পরিবহণ সংক্রান্ত কাজ ওই অফিসে হবে।
|
ফ্লেক্স ঘিরে বিতর্ক
|
|
ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
মালদহ কলেজে শনিবার এই ফ্লেক্সটি লাগানো হয়। তার পরেই বিতর্ক শুরু হয়, ছাত্রছাত্রীদের ‘পোশাক ও আচার-আচরণে শালীনতা’ কী ভাবে স্থির করা যাবে? কোনও রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনই বা কী করে নীতি-পুলিশের দায়িত্ব নিতে পারে? ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসীমকুমার সরকার জানান, কলেজে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেই, তাই কোনও ছাত্র সংগঠন এ ধরনের ফ্লেক্স টাঙাতেও পারে না। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রর যুক্তি, “ছাত্রছাত্রীদের চিত্তশুদ্ধি হওয়া দরকার। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যে অনুরোধ করেছে, তা অবশ্যই স্বাগত।” কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুরের কিন্তু বক্তব্য, “শালীনতার মানদণ্ড এ ভাবে স্থির করা যায় না।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস জানান, তাঁদের না জানিয়েই ওই ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে ফ্লেক্সটি খুলে ফেলা হয়। |
|