গৌড়বঙ্গের উপাচার্যকে ইস্তফা
দিতে বলেছেন রাজ্যপাল, দাবি
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাসকে রাজ্যপাল কে আর নারায়ণন পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল সদস্য দুলাল ঘোষ। সোমবার দুলালবাবু বলেন, “গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে রাজ্যপাল উপাচার্যকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।” দুলালবাবু জানান, এ দিন রাজ্যপালের সচিব ওই নির্দেশ অচিন্ত্যবাবুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
অচিন্ত্যবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, এমন কোনও নির্দেশ তিনি এখনও পাননি। তাঁর বক্তব্য, “আমি তো অনেকদিন আগেই রাজ্যপালের কাছে আমার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালের কোনও নির্দেশ আমি হাতে পাইনি।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের উপাচার্য গোপা দত্তকে মেয়াদ শেষের আগেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গাতেই ২০১২ সালের ১৪ মে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অচিন্ত্যবাবু ১৮ মাসের জন্য উপাচার্য হন। ১৩ নভেম্বর উপাচার্য পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তবে এ বছর ১১ জুলাই তিনি নিজেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “রাজ্যপাল ওই নির্দেশ দেওয়ায় আমরা খুশি। উপাচার্য কোনও কাজ না করে দিনের পর দিন কলকাতায় গিয়ে বসে থাকতেন। শিক্ষামন্ত্রীকে অনেকবার তাঁকে সরানোর জন্য বলেছি।” জেলার আর এক তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিরও বক্তব্য, “রাজ্যপালের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল হবে। উপাচার্য গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে ডুবিয়ে দিয়েছেন। তিনি দুর্নীতিতে যুক্ত বলে শুনেছি। আমি শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম। তিনি সরকারের বদনাম করে দিচ্ছিলেন।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্যের পদে যোগ দেওয়ার কিছু দিন পর থেকেই সাবিত্রীদেবী ও কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে অচিন্ত্যবাবুর বিরোধ শুরু হয়। অচিন্ত্যবাবু বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কাউন্সিলের সদস্যদের অভিযোগ, কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়াই শিক্ষক ও আধিকারিক নিয়োগ করেছেন উপাচার্য। অনুমোদন ছাড়াই তিনি অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য মালদহের বদলে কলকাতায় ইন্টারভিউ ডাকেন। যদিও পরে শিক্ষা দফতর নিয়োগ বন্ধ করে দেয়। দুলালবাবু জানান, এক বছরে উপাচার্য কাউন্সিলের একটি বৈঠকও ডাকেননি। বলেন, “কাউন্সিলকে অন্ধকারে রেখে কাজ করেছেন তিনি। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্যের নানা অনৈতিক কাজের তালিকা পাঠিয়েছিলাম।”
অচিন্ত্যবাবুর পাল্টা দাবি, “দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়। কলকাতায় থাকতে হয়েছে অসুস্থতার কারণেই।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.