|
|
|
|
মিটিঙে বোর্ডকে সমর্থন বামেদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
৬ মাস বাদে বামেদের শর্ত সাপেক্ষ সমর্থনে মাসিক অধিবেশন করতে পারল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড। সোমবার মাসিক অধিবেশনে তিনটি বিষয় ছাড়া অন্য সব প্রস্তাব অনুমোদনে মত দেন বাম কাউন্সিলররা। কংগ্রেসের ১৪ ও বামেদের ১৭ জন কাউন্সিলর সমর্থন করায় মিটিং-এর অধিকাংশ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলরা বোর্ড মিটিং অবৈধ বলে অভিযোগ করে। তৃণমূলের অভিযোগ, আগের এক অধিবেশন মুলতুবি থাকায় তা সম্পূর্ণ না-করে বোর্ড মিটিং ডাকা বেআইনি। পুরবোর্ডে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের যে আঁতাত রয়েছে তা ফের স্পষ্ট বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
২০০৯ এর ৪ অক্টোবরে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট সমসংখ্যক (১৫টি করে) আসন পেয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী গঙ্গোত্রী দত্তের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন গৌতম দেব। বামেদের সমর্থনে মেয়র হন গঙ্গোত্রী দত্ত। এই পরিস্থিতিতে প্রায় দু’বছর বোর্ড চললেও ফের ২০১১ এর জুলাই মাসে বোর্ডে যোগ দেয় তৃণমূল। কিন্তু নান্টু পাল নিয়ে বির্তকের জেরে ফের এবছর একক ভাবে বোর্ড তৈরি করে কংগ্রেস। নান্টুবাবু ইস্তফা দেওয়ার পরে ফের বোর্ড মিটিং হয় এদিন। |
|
পুর-মিটিঙে কাগজ ছিঁড়ে ওড়ালেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।— নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন সভা শুরুর আগেই পুর পুজোর আগে শহরের পরিষেবা শিকেয় তুলে দিতেই আজকের সভায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি করেছেন। বামেদের তরফে বিরোধী দল নেতা নুরুল ইসলামের দাবি, “যে চিঠি রাজ্য সরকার দিয়েছে, সেখানে সভা বাতিল করার বিষয় নেই। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করেছেন তাঁরা।” সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে বিরোধিতা না করলেও বিল্ডিং প্ল্যান, ট্রেড লাইসেন্স, পার্কিং প্রস্তাবের ব্যাপারে অনুমোদন দেয়নি বামেরা। বিরোধী দলনেতা বলেন, “এতগুলো বিষয় দেখা এটুকু সময়ে সম্ভব নয়, তাই সময় চেয়ে নিয়েছি।” তবে এই তিনটি বিষয়ে অনুমোদন না মেলায় পুরসভা আয়ের পথ আটকাল। এক দিকে ভাঁড়ার শূন্য পুরবোর্ড, তারপর আয়ের পথ না খোলায় কি করে অস্থায়ী কর্মীর বেতন, বোনাস ইত্যাদি হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে পুরকর্মীদের মধ্যে। এ দিন সভার শুরু থেকেই বিরোধিতা করতে থাকেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। টেবিল চাপড়ে নানা কটাক্ষ করতে থাকেন তাঁরা। মেয়রের পদত্যাগ দাবি করে নানা কটাক্ষ করেন মেয়র পারিষদদের। এর মধ্যে সভা পরিচালনা করেন দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বামেদের আনা প্রশ্নোত্তর, মোশন ইত্যাদির জবাব দেন তাঁরা। সভা শেষ ঘোষণা করতেই সমস্ত কাগজপত্র ছিড়ে সভাকক্ষে উড়িয়ে দেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা।
তৃণমূল কাউন্সিলরদের এ দিনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। গঙ্গোত্রী দেবী বলেন, “আজ তৃণমূল কাউন্সিলররা যে আচরণ করেন তার নিন্দা করছি।” অন্য দিকে, তৃণমূলের দাবি, “কংগ্রেস সিপিএম একযোগে কাজ করছে তা এ দিন আরও এক বার প্রমাণ হয়ে গেল। বাম-ডান দু’ভাই।” তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ বামেরা। নুরুলবাবু বলেন, “আমরা শহরের উন্নয়ন চাই, এত দিন দলত্যাগী চেয়ারম্যান থাকায় আমরা সভাতে যাইনি। এখন পুজোর আগে শহরের মানুষ যেন পরিষেবা পান সেটা দেখতে হবে। আমরা কারও সঙ্গে নেই।” অন্য দিকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এ দিনও সরব হন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। বামেদের কটাক্ষ, “যে ১১ টি বিল্ডিং প্ল্যান নিয়ে তৃণমূল সরব হয়েছে, সেই সময় বোর্ডে তৃণমূল ছিল, তাঁরা তখন কেন বিরোধিতা করেননি?” |
|
|
|
|
|