|
|
|
|
মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী |
পুর-প্রচারে রাজ্যের সমালোচনায় অধীর
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পুরভোটের প্রচারে মেখলিগঞ্জেও রাজ্য সরকারের সমালোচনা জারি রাখলেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। সোমবার ১১টা নাগাদ মেখলিগঞ্জের পুরসভা মোড়ে এক জনসভায় অধীর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ছিলেন। সভায় অধীরবাবু বলেন, “রাজ্য সরকার মানুষকে ধাপ্পা দিচ্ছে। মেখলিগঞ্জ পুর ভোটের প্রচারে এসে তিস্তায় সেতু করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ওই সেতু তৈরির কোনও প্রকল্প রাজ্য পাঠায়নি। এটা মানুষকে ধাপ্পা দেওয়া ছাড়া কিছু নয়।” তাঁর অভিযোগ, “শুধু তিস্তা সেতুই নয়, বেকার ভাতা বিষয়ে এমন অসংখ্য উদাহারণ রয়েছে।”
ছিটমহল সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিলেও সরকারের বাধায় তা করা যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পুরসভা এলাকার উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প নিয়েছেন বলে অধীরবাবুর দাবি করে, জহরলাল নেহেরু আর্বান মিশন প্রকল্প, স্বর্ণজয়ন্তী স্বরোজগার যোজনা, বস্তি উন্নয়ন প্রকল্প, বিধবা ভাতা, অক্ষমভাতা, বার্ধক্যভাতা, গৃহনির্মাণের প্রকল্প সহ নানা প্রকল্পের খতিয়ান পেশ করেন। এ দিন চ্যাংরাবান্দায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের উন্নয়ন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন অধীরবাবু। |
|
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
কেন্দ্রীয় সরকার ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি বলে রেল প্রতিমন্ত্রীকে অভিযোগ করেন আইএনটিইউসি নেতা-কর্মীরা। চ্যাংরাবান্ধা-শিলিগুড়ি রেল পরিষেবা চালু নিয়েও আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিন হলদিবাড়িতে সভা করে কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী। হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয় মন্ত্রীর কাছে। তার মধ্যে অন্যতম দাবি হল, শহরে আন্ডারপাস তৈরি করা এবং রেলের অব্যবহৃত জমি লিজ দেওয়া। অধীরবাবু দুটি বিষয় নিয়েই আশ্বাস দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও হলদিবাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে রোডশো করে পুর এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন। অধীরবাবুর পাল্টা হলদিবাড়ির সভায় গৌতমবাবু বলেন, “রাজ্য হলদিবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জে তিস্তা সেতু তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে। তার জন্য পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রস্তাব পাঠাতে হয় জানি। সব ধীরে সুস্থে করা হবে।”
এ দিন শিলিগুড়িতেও এনজেপি স্টেশনে একটি তৎকাল রিজার্ভেশন কাউন্টারের উদ্বোধন করেন রেল প্রতিমন্ত্রী। সেখানে আলিপুরদুয়ারে ফ্লাইওভার ও শিলিগুড়িতে অ্যাক্সেল কারখানা নিয়েও রাজ্যবাসীকে ভুল বোঝানোর অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, অ্যাক্সেল কারখানা নিয়ে জমি জট ছিল। তা জেনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রকল্প ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেছেন, “উনি কিছুই জানেন না। হোমওয়ার্ক না করে সস্তা প্রচারের জন্য ও সব বলছেন। ভারতীয় ইস্পাত নিগমের সঙ্গে রেলের চুক্তি হয়েছে। এখন রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই।”
অধীরবাবু জানান, দার্জিলিংগামী ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের মেরামতির জন্য কেন্দ্র সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। তাতে রাজ্যেরও কিছু অংশ থাকবে। রাজ্য তা পালন করায় কাজ আটকে। |
|
|
|
|
|