পরিচয়পত্রে ভুল, ক্ষুব্ধ হস্তশিল্পীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
পটশিল্পীকে উল্লেখ করা হয়েছে শঙ্খশিল্পী হিসেবে। আবার কোনও পরিচিত শিল্পীর পরিচয়পত্রে তিনি কোন গোত্রের শিল্পী তার উল্লেখই নেই। কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের দেওয়া হস্ত শিল্পীদের সচিত্র পরিচয় পত্রে এমনই ভুল নজরে এসেছে বিষ্ণুপুরে। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ওই শিল্পীদের মধ্যে। বিষ্ণুপুরের পটশিল্পের সুনাম বহুদূর বিস্তৃত। এখানকার পটশিল্পী সুবল ফৌজদারের পরিচয়পত্রে তাঁকে শঙ্খশিল্পী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর ভাই শীতল ফৌজদারও পটশিল্পী। কিন্তু তাঁর পরিচয় পত্রে তিনি কী ধরণের কাজ করেন তার উল্লেখ নেই। সুবলবাবুর ক্ষোভ, “পটশিল্পী হিসেবে আমার পরিচিতি রয়েছে। অথচ পরিচয়পত্রে পেশা হিসেবে শঙ্খশিল্পী বলে জানানো হয়েছে। এ রকম ভুল পরিচয়পত্র আমাদের কোনও কাজে লাগবে?” তাঁর ভাই শীতলবাবুর ক্ষোভ, “ওই পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক থেকে সহজে ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভুলে ভরা এই পরিচয়পত্র ব্যাঙ্ক কর্মীদের দেখালে আদৌ ঋণ পাওয়া যাবে?” বিষ্ণুপুর ব্লক শিল্প আধিকারিক প্রশান্ত মণ্ডলের দাবি, “আমাদের ব্লক এলাকার ৮০০ হস্তশিল্পীকে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ করতে গিয়ে এমন ভুল হয়ে থাকতে পারে। শিল্পীরা আবেদন করলে সংশোধন করে নেওয়া হবে।”
|
দোকানদারকে মারধরে আটক ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাবাজার |
দু’পক্ষের গণ্ডগোল থামিয়ে তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এক দোকানদার। অভিযোগ, খানিক পরে একপক্ষ ফিরে এসে লাঠি, রড দিয়ে বেদম পেটায় ওই দোকানদারকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী-ও জখম হয়েছেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বরাবাজার থানার তালাডি গ্রামে। আহত অবস্থায় ওই দম্পতিকে বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার থানায় অভিযোগ হয়। পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে তালাডি গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দা আনন্দ মুদির সঙ্গে মনসারাম মুদি, হাঁদু মুদিদের বচসা হয়। গ্রামবাসীদের একাংশ বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল চলছিল। এ দিন চা দোকানদার ত্রিলোচন মাহাতোর দোকানের সামনে দু’পক্ষের ফের বচসা ও হাতাহাতি হয়। ত্রিলোচনবাবু দু’পক্ষকে তখনকার মতো সরিয়ে দেন।” অভিযোগ, পরেই মনসারাম দলবল নিয়ে লাঠি, রড দিয়ে তাঁকে পেটান।
|
ইঁদ পুজো
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
কয়েক শতাব্দীর প্রথা মেনে সোমবার পুরুলিয়ার কয়েকটি থানা এলাকায় ইঁদ পুজো হয়েছে। ইন্দ্র দেবতার আশিস পেতে এই পুজো করা হয়। বরাবাজার রাজবাড়ির প্রবীণ সদস্য কল্যাণীপ্রসাদ সিংহদেও বলেন, “জঙ্গলমহল এলাকায় ঋতুভিত্তিক পূজোর রেওয়াজ রয়েছে। অতীতে রাজারা প্রজাদের সুখ ও শান্তি কামনায় এবং ভাল ফসলের জন্য ইন্দ্র দেবতার পুজো করতেন। কালক্রমে এটি ইঁদ পূজো নামে প্রচলিত হয়।” এই জেলার বরাবাজার, মানবাজার এবং বাঁকুড়ার অম্বিকানগর ও ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির উদ্যোগে এখনও ভাদ্র সংক্রান্তির আগের দিন খুঁটির মাথায় সাদা ছাতা ঝুলিয়ে অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ইঁদ পুজো করা হয়। |