জঙ্গলমহল সফরে ফের আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারের সফরে তাঁর গন্তব্য, একদা মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত অযোধ্যা পাহাড়। প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পুরুলিয়ায় এসে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প বিষয়ক মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো জানান, ২৩ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর অযোধ্যা পাহাড়েই রাত্রিবাস করার কথা। সে ক্ষেত্রে এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যা পাহাড়ে রাত কাটাবেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পাহাড়ের মাথায় পুরুলিয়া পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্পের আপার ড্যামের উদ্বোধন করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে মমতা যখন পুরুলিয়ায় এসেছিলেন, তখন তিনি নিজেই এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। এ বার সেই ইচ্ছাপূরণ করতে অযোধ্যায় যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শুধু রাত্রিবাস করাই নয়, পরের দিন হয় পাহাড়ের উপরে অথবা পাহাড়ের নীচে কোনও এক জায়গায় সভাও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিরামবাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এ বার আট মাসের ব্যবধানে জেলায় আসছেন। |
তিনি এই জেলার জন্য যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, তার অগ্রগতি নিজে খতিয়ে দেখতেই আসছেন। তবে, পাহাড়ের সভা ঠিক কোথায় হবে, তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি বলেই মন্ত্রী জানিয়েছেন। এক সময়ের মাওবাদীদের এই গর্ভগৃহে মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিবাস করবেন বলে কথা! স্বাভাবিক ভাবেই ঘুম ছুটে গিয়েছে পুলিশকর্তাদের। পাহাড় ও লাগোয়া এলাকায় শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি। সোমবার পুরুলিয়া শহরের পুলিশ অতিথি নিবাসে মাওবাদী মোকাবিলায় রাজ্যের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী কাউন্টার ইন্সার্জেন্সি ফোর্সের (সিআইএফ) পদস্থ কর্তারা জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি (সিআইএফ) কুন্দনলাল টামটা, ডিআইজি (সিআইএফ) অনিল কুমার এবং আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) অজয় নন্দ এবং পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার। বৈঠকে এই জেলার জঙ্গলমহলের ন’টি থানার আইসি এবং ওসিদেরও ডাকা হয়েছিল। যদিও পুলিশ সুপার জানান, এটি রুটিন বৈঠক। অনিল কুমারও বৈঠককে সিআইএফের রুটিন বৈঠক বলেই দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফের পাহাড়ের রাস্তা, জঙ্গলঘেরা করিডর ইত্যাদির নকশা সামনে রেখে তল্লাশি ও নজরদারির পরিকল্পনা করছেন পুলিশ কর্তারা। |