টুকরো খবর
মহিলাকে খুনের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা
শ্বশুরবাড়িতে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় রিজিয়া বিবি নামে এক তরুণীকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালের বেলডাঙার মির্জাপুরের ওই ঘটনায় স্বামী ইমারুল শেখ, শ্বশুর খুরশেদ শেখ ও শাশুড়ি নুরজাহান বিবির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। সোমবার জেলা জজ আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায় ওই সাজা ঘোষণা করেন। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার ছ’মাস আগে রিজিয়া বিবির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সইতে না পেরে ওই তরুণী বাবার বাড়ি বেলডাঙা থানারই ঝুনকা গ্রামে ফিরে যায়। পরে স্বামী ইমারুল শেখ তাঁকে বুঝিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। তার দু’দিন পরেই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পরিবারের লোকজন রিজিয়া বিবির মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। ওই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, ওই তরুণীর মৃতদেহ ঘিরে রয়েছেন পড়শিরা। ঘটনার পরেই স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি সকলেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুনের পরে ওই তরুণীর মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে জানা যায়। ওই মামলার সরকারি আইনজীবী বদরুদ্দিন আহমেদ বলেন, “এদিন বিচারক যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে তিন হাজার টাকা করে ছ’হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। ওই জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।”

খোরজুনা কাণ্ডে চার্জশিট
মুর্শিদাবাদে খোরজুনা কাণ্ডের ৮৬ দিনের মাথায় শেষ পর্যন্ত আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। অভিযুক্ত প্রকাশ দাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ এনে সোমবার কান্দি মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। কান্দির মহকুমা আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিন কান্দি আদালতে মৃতার পরিবার এবং তাঁর গ্রাম ফুলশিখরের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা কান্দি আদালতে ভিড় করেছিলেন। তাঁদের অধিকাংশের হাতে ছিল ‘অভিযুক্তের ফাঁসি চাই’, লেখা পোস্টার। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে দেখা যায় তাঁদের। গত ২৩ জুন ফুলশিখর গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বছর তিরিশের ওই মহিলার দেহ মেলে। পুলিশ পড়শি যুবক প্রকাশ দাসকে গ্রেফতার করে। তবে জেলা পুলিশ সুপার সে দিন বিকেলেই ঘোষণা করেছিলেন, “ওই মহিলার সঙ্গে ধৃত যুবকের সম্পর্ক ছিল।” এই মন্তব্য ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খোরজুনা। গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ মিছিল করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ও ঘেরাও করেন।

পুরনো খবর:
বিতাড়িত দম্পতিকে বাড়ি ফেরাতে নির্দেশ এসপিকে
এক ছেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, অন্য ছেলে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। অথচ তাঁদের ৭১ বছরের বৃদ্ধ বাবা হরেন্দ্রনাথ রায় আর ক্যানসারে আক্রান্ত মা অণিমা রায় নিজেদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত। বছরখানেক ধরে মেয়ের বাড়ি অথবা অন্য আত্মীয়দের বাড়ি ঘুরে ঘুরে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন ওই দম্পতি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বরিষ্ঠ নাগরিক আইন অনুযায়ী জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছিলেন, দুই ছেলেই বাবা-মাকে মাসে ৭০০০ টাকা করে দেবেন। মাত্র এক মাস দিয়ে পার্থ রায় ও চঞ্চল রায় নামে ওই দুই ছেলে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। নদিয়ার তাহেরপুরের ওই বৃ্দ্ধ দম্পতি নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী সুব্রত বসু সোমবার শুনানিতে বলেন, হরেনবাবু অনেক কষ্টে ছেলেদের মানুষ করেছেন। দুই ছেলেই এখন প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা পরিবার নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। আর বৃদ্ধ বাবা-মা পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ওই বৃদ্ধ দম্পতি যাতে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেন, পুলিশ সুপারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবস্থা করতে হবে তাঁদের নিরাপত্তারও। দুই ছেলেই যাতে বাবা-মাকে মাসে ৭০০০ টাকা করে দেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে ডিএমকেই।

প্রধানকে মারধর
সিপিএমের এক মহিলা প্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ওই ঘটনার পর বড় চাঁদঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পারুল দাশকে কালীগঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। কালীগঞ্জের বিডিও তনুশ্রী বটব্যাল বলেন, “শুনেছি যাঁর ছবি তাঁকে না দেখে তাঁর ছবির উপর অ্যটেস্টেসন করতে চাননি ওই প্রধান। সেই নিয়ে ওই পঞ্চায়েতে গোলমালও হয়। পরে ওই মহিলা প্রধানকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঠিক কি হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কালীগঞ্জের সিপিএমের জোনাল কমিটির সম্পাদক সুবোধ চক্রবর্তী বলেন, “ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বরুণ সিংহ রায় দলবল নিয়ে পঞ্চায়েতে এসে প্রধানকে মারধরের পাশাপাশি জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের কালীগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএমের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঢাকতে এখন তৃণমূলের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। মারধর তো দূরের কথা বরুণ সিংহ রায় ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।”

দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত চিকিৎসক, অভিযুক্তরা অধরা
আচমকা বাড়িতে ঢুকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধর করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় জখম চিকিৎসক শিবাজী করকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, এ দিন রাতে বাড়িতে চিকিৎসক শান্তিপুরের কাশ্যপপাড়ার বাড়িতে রোগী দেখছিলেন। আচমকা জনা তিনেক দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করে। আহত চিকিৎসক শিবাজীবাবু বলেন, “আচমকা জনা তিনেক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে। একজন কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে চম্পট দেয়। ঘটনার পরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে সোমবার এলাকার লোকজন কাশ্যপপাড়া থেকে ডাকঘর পাড়া অবধি ধিক্কার মিছিল বার করে। পুলিশ অবশ্য ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু
নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের। মৃতদের নাম সামিরুল সেখ (১৩) ও হাসান সেখ (১৫)। পুলিশ জানিয়েছে সোমবার স্কুলে যাওয়ার নাম করে ওই দুই ছাত্র বড়ঞার একঘড়িয়া গ্রামের ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে খেলছিল। আচমকা তাদের উপর একটা দেওয়াল ভেঙে পড়ে। শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলেও মারা যায় সামিরুল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় হাসান।

ডুবে মৃত ৩ ছাত্র
জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রের। মৃত অমর বাসফোর (১৪) ও সন্দীপ দেবনাথের (১৪) বাড়ি তেহট্টের ত্রিপুরাপাড়ায়। রবিবার বিকেলে দু’জনে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। রাতে জলঙ্গি নদী থেকে তাদের দেহ পাওয়া যায়। অন্যদিকে সোমবার সকালে হোগলবেড়িয়ার যমশেরপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে সামিরুল ইসলাম (৭) নামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত করছে পুলিশ।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
চলন্ত বাসের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃতের নাম আনিসুর রহমান (৫৫)। বাড়ি ভরতপুরের করন্দি গ্রামে। সোমবার সকালে আনিসুর বাসের ছাদে সালার যাচ্ছিলেন। বিনোদিয়া মোড় এলাকায় গাছের ডালে ধাক্কা লেগে তিনি পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান আনিসুর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.