পূর্বে হবে চারটি দুগ্ধ শীতলিকরণ কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
গ্রামীণ দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলি থেকে সংগৃহীত দুধ প্রক্রিয়াকরণের জন্য জেলার চার জায়গায় দুগ্ধ শীতলিকরণ ইউনিট চালু করা হবে। মহিষাদল, কাঁথি, রামনগর ও পটাশপুরে এই দুগ্ধ শীতলিকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য মোট ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমবার তমলুক শহরের শালগেছিয়ায় নিয়ন্ত্রিত বাজার চত্বরে জেলার নবগঠিত তাম্রলিপ্ত কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়নের অফিস ও বিপণন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্য সমবায় দুগ্ধ উৎপাদক মহাসঙ্ঘের পরিচালন অধিকর্তা উদয়ভানু গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “দুধ শীতলিকরণের কেন্দ্রগুলির প্রতিটি দৈনিক ৫ হাজার লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা সম্পন্ন হবে। এর ফলে জেলায় প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লিটার দুধ শীতলিকরণের সুযোগ তৈরি হবে। জেলায় শীতলিকরণ ইউনিট গড়া-সহ বিভিন্ন খাতে মোট প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করে ইউনিয়নের কর্মকাণ্ড শুরু করা হচ্ছে।” |
|
অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র। |
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা ভেঙে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা গঠিত হয়। কিন্তু এতদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গ্রামীণ দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলি মেদিনীপুর মিল্ক ইউনিয়নের অধীনে ছিল। চলতি বছরের প্রথম দিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গ্রামীণ দুগ্ধ উপাদক সমবায় সমিতিগুলিকে নিয়ে তাম্রলিপ্ত কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়ন গঠন করা হয়। এ দিন অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, “জেলার ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এদের বেশির ভাগই কৃষি ও পশুপালনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। কোনও সরকারই সবাইকে চাকরি দিতে পারবে না। তাই স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য সমবায়ের মাধ্যমে কৃষক ও পশুপালকদের সাহায্য করতে সমবায় আন্দোলন জোরদার করতে হবে।” |
|