হমেডান-৩ (স্যামসন, কলিন আব্রাঞ্চেজ, আন্টনি সোরেন)
মুম্বই টাইগার্স-১ (বিকাশ জাইরু) |
মুম্বই টাইগার্স-কে ৩-১ উড়িয়ে দিয়ে পুরো দু’দশক পরে আবার ডুরান্ড ফাইনালে মহমেডান স্পোর্টিং। তাদের সামনে এখন ৭২ বছরের পুরনো ইতিহাস স্পর্শ করার হাতছানি। ১৯৪০-এ একবারই ডুরান্ড জিতেছিল মহমেডান। আর শেষ বার ফাইনাল খেলেছিল ১৯৯২-এ। এই নিয়ে পাঁচ বার ফাইনালে গেল তারা।
সোমবারের সেমিফাইনালে অভিজ্ঞতার কাছে বিশ্রী হারল অনভিজ্ঞতা। খেলা শুরুর দু’মিনিটের মাথায় দুরন্ত বাঁকানো ফ্রি-কিকে গোল করে স্যামসন মুম্বইয়ের দলকে চাপে ফেলে দেন। প্রাথমিক ওই আঘাত এবং মহমেডান কোচ আজিজের অজস্র ছোট ছোট পাস খেলানোর চতুর রণকৌশলে ছন্দ হারিয়ে বসে নিজেদের চেনা গতিটাই তুলতে পারল না বিমল ঘোষের দলের। সিংহভাগ সময় বল রইল পেনদের দখলে। অবশ্য তা সত্ত্বেও মুম্বই টাইগার্সের ছটফটে তরুণ ব্রিগেড কয়েক বার মহমেডান বক্সে ঢুকে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু গোলে সোমনাথ ও দুই স্টপার সন্দীপ সাঙ্গা আর গগনদীপ দৃঢ়তার সঙ্গে বিপদ সামলে দেন।
১৮ মিনিটে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান জেরি। তারপর প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে পেনের থ্রু পাস ধরে পরিবর্ত ইসরাইল গুরুং ডান দিক থেকে মাপা ক্রসে বল বাড়ালে হাল্কা ফ্লিকে গোলে করে যান আব্রাঞ্চেজ। দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটে অ্যান্টনি সোরেনের হেড থেকে ৩-০। ওই সময় কলকাতার দলের খেলায় খানিকটা আত্মসন্তুষ্টি ঢুকে পড়েছিল। তারই সুযোগ নিয়ে ৮১ মিনিটে হেড করে একটা গোল শোধ করে যান বিকাশ জারুই।
আজিজ আগের ম্যাচের মতই এ দিনও পেন আর লুসিয়ানোকে রেখে দল সাজিয়েছিলেন। ফরোয়াডের্র্ একা অজয় সিংহ। আর উইথড্রল ফরোয়ার্ড পেন, যিনি দলকে প্রায় একা টেনে গেলেন। ফাইনালে উঠে দৃশ্যত খুশি আজিজ জানালেন সব কিছু ঠিক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে। বললেন, “ছেলেরা দুর্দান্ত খেলল। বিপক্ষের খেলার ধরন আমরা জানতাম। সেই মতো নিজেদের ছক সাজিয়েছিলাম।” এ বার ফাইনালে ইন্ডিয়ান নেভি বা ওএনজিসি-র মধ্যে সামনে যে-ই পড়ুক, জেতা ছাড়া আর কিছু ভাবছেন না। আজিজ বললেন, “এত দূর আসার পরে কাপ না জিতে ফিরতে চাই না। ১৯৪০-এ মাত্র একবারই আমরা ডুরান্ড জিতেছি। সেই ৭২ বছরের রেকর্ডটা ছুঁয়ে আই-লিগ শুরু করতে চাই।”
অন্য দিকে, উচ্ছ্বসিত মহমেডান প্রেসিডেন্ট ও সাংসদ সুলতান আমেদ। ম্যাচের শেষে গোটা দলকে নিজের দিল্লির বাড়িতে নেমন্তন্ন করে ফেললেন তিনি। জানালেন, ফাইনালের আগে ছেলেদের এ ভাবেই তাতিয়ে তুলতে চান।
|