অকালে মৃত্যু হয়েছে ছেলের। তাঁর স্মৃতিতেই অবসর নেওয়ার পরে প্রাপ্য অর্থ স্কুলকে দিয়েছিলেন চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির স্কুলের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষিকা শান্তা ঘোষ। চুঁচুড়ার লাহাবাগানের বাসিন্দা শান্তাদেবীর দেওয়া সেই টাকাতে তৈরি হয়েছে স্কুলের ক্লাসরুম। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ওই ঘরে শুরু হয়ে যাবে ক্লাস।
পাণ্ডুয়ার খন্যান ইটাচুনা কলেজে পড়াতেন শান্তাদেবীর একমাত্র ছেলে শুভঙ্কর। তাঁর স্বামী মোহনলাল ঘোষ ছিলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ। ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বছর একত্রিশের শুভঙ্করের। তার পর থেকেই একা হয়ে পড়েছিলেন দম্পতি। তখনও অবসর নেননি শান্তাদেবী। দেখলেন, নিজের স্কুলে সামান্য ক্লাসরুমের অভাবে ছাত্রী কম। পড়াশোনার পরিবেশও বেশ খারাপ। তখনই ঠিক করেন স্কুলের শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্যই টাকাটা দেবেন তিনি।
|
স্মৃতি সম্বল।—নিজস্ব চিত্র। |
২০১১ সালে স্কুল থেকে অবসর নেন শান্তাদেবী। অবসরকালীন ১০ লক্ষ টাকা দেন স্কুলকে। তার পর সেই টাকা দিয়ে চন্দননগর পুরসভার মাধ্যমে ক্লাসরুম তৈরি হয়।
শান্তাদেবী বলেন, “আমার ছেলে শিক্ষক ছিল। ও নেই, আমাদের জীবনের সব আলোই নিভে গিয়েছে। শিক্ষকতা শুরু করতে না করতেই চলে গেল। ওর স্মৃতিতেই এই অর্থ দিয়েছি। স্কুলের মেয়েদের সুবিধা হবে। এছাড়াও স্কুলের যে ছাত্রীরা প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হবে, তাদের উৎসাহ দিতে সাম্মানিক অর্থ পুরস্কার দেব।” |