|
|
|
|
কেন মরতে চেয়েছিলেন পুলিশকর্তা, কাটছে না ধন্দ |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
চব্বিশ ঘণ্টার বেশি কেটে গেলেও মহারাষ্ট্র পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি রঞ্জিত কুমার সহায়ের আত্মহননের চেষ্টার কোনও স্পষ্ট কারণ জানা গেল না। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পেশাগত সমস্যার জন্যই আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন তিনি।
মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গত কাল অর্থাৎ রবিবার দক্ষিণ মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন রঞ্জিত। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় বম্বে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্ত্রী ও মেয়ে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। রঞ্জিতের চিকিৎসক অনিল জেকব গত কাল বলেছিলেন, “৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশ পোড়ার ক্ষত রয়েছে ওঁর শরীরে।” তা ছাড়া মুখে এবং শ্বাসনালীতেও পোড়ার ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অনিল। তাঁর মতে, বদ্ধ জায়গায় থাকায় দীর্ঘ ক্ষণ বিষাক্ত ধোঁয়া ঢুকেছে রঞ্জিতের শরীরে। ফলে শরীরের ভিতরেও গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অতিরিক্ত ডিজি পদে যোগ দেওয়ার আগে মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহণ নিগমে(এমএসআরটিসি) কর্মরত ছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তা ছিলেন দীপক কুমার। দীপকের আমলে পরিবহণ নিগমে নানা ধরনের অসঙ্গতি হয়েছিল, এই মর্মে গত মাসে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন রঞ্জিত। নিগমের মুখ্য ভিজিল্যান্স অফিসার হিসেবে অর্ন্তবর্তী তদন্ত চালিয়ে রিপোর্ট দিয়েছিলেন তিনি। মূলত তাঁর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মহারাষ্ট্রের দুর্নীতি-দমন ব্যুরো দীপকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথা ভাবছে।
তবে একাংশের মতে, ১৯৯১ সালের আইএএস অফিসার দীপকের অধীনে কাজ করতে বেশ অসুবিধা হত ১৯৮৬ সালের আইপিএস রঞ্জিতের। এমনকী মাঝে মধ্যেই বয়সে ছোট দীপকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তেন দীপক। প্রাক্তন কর্তার সঙ্গে সেই পেশাগত ঝামেলার জেরেই এই আত্মহত্যার চেষ্টা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|