মা-মেয়ের মৃত্যু ঘিরে টানাপোড়েন হাজারিবাগে
হাজারিবাগে মা ও মেয়ের মৃত্যুকে ঘিরে জোর টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ওই দু’জনের। সরকারের দাবি, জণ্ডিসে মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের।
হাজারিবাগের আমনারি পঞ্চায়েত এলাকার সিখা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন গীতা রবিদাস (৪০) ও সঙ্গীতা কুমারী (১২)। রবিবার হাজারিবাগ সদর হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। গীতার ছ’বছরের ছেলে আদিত্য কুমার এখন ওই হাসপাতালেই ভর্তি। রবিবার ভোরের দিকে ওই তিন জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাজারিবাগ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন সিখা গ্রামের বাসিন্দারা। বেলার দিকে দু’জন মারা যান। গ্রামবাসীদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের ঘরে খাওয়ার কিছু ছিল না। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ কুমার জানান, স্বামীর মৃতুর পর থেকে গীতা তাঁর তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন। অনেক কষ্টে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছিল গত মাসে। তার পরে থেকে অন্য দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁকে চলতে হচ্ছিল। তাঁর অভিযোগ, “পরিবারটি নিয়মিত খেতে পেত না। গত শীতে গায়ে দেওয়ার কম্বল পর্যন্ত ছিল না ওই পরিবারের সদস্যদের। মহিলা ব্লক অফিসে বারবার গিয়েও বিপিএল কার্ড আর দিন মজুরের কাজের জন্য প্রয়োজনীর কার্ডের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সরকারের তরফে কেউ তাঁকে সাহায্য করেননি।”
গীতার প্রতিবেশী তথা ওয়ার্ড সদস্য দিলীপকুমার দাসের কথায়, “গীতার স্বামী যক্ষায় মারা যান। তারপর থেকে গীতা দিন মজুরের কাজ করে সংসার টানার চেষ্টা করছিলেন। অনেক সময় গ্রামবাসীরা তাদের সাহায্য করতেন। এমনকী বিধবাভাতাও ঠিক মতো পেতেন না ওই মহিলা।’’ রবিবারের ওই ঘটনার পরে হাজারিবাগে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। হাজারিবাগ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা প্রথমে ঘটনাটিকে অনাহারজনিত মৃত্যু বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ থেকে সরকারি স্তরে বিবৃতির বদল ঘটেছে। হাজারিবাগ সদরের ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার শ্বেতা বৈদ্য আজ বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালের রিপোর্ট বলছে অনাহারে নয়, ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে জণ্ডিসের কারণে।” তবে কেন ওই মা ও মেয়ের মৃত্যুকে প্রথমে অনাহারে মৃত্যু বলে জানিয়েছিল প্রশাসন? বিডিও র দাবি, তাঁদের কথার অপব্যখ্যা করা হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.