|
|
|
|
জেএনইউ-এ নিরঙ্কুশ আইসা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত নিরঙ্কুশ জয় পেল আইসা-ই।
গত বার সভাপতি বাদে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সহ-সম্পাদক ও সহ-সভাপতি পদ ছিল সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনেরই দখলে। এ বার চারটি পদেই জয় পেয়েছে তারা। এসএফআই থেকে ভেঙে বেরিয়ে তৈরি হওয়া নতুন সংগঠন ডিএসএফ এ বার একটি মাত্র কাউন্সিলর পদ জয় ছাড়া আর কোথাও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, যে প্রতিষ্ঠানে বরাবরই বামপন্থী হাওয়া প্রবল, সেখানে বেশ কিছু ভোট পেয়েছে অকিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। দিল্লির দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল থেকে বিজেপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা তরুণ প্রজন্মের উপরে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
জেএনইউ-এ ছাত্র সংসদের সভাপতি হয়েছেন আকবর চৌধুরী, সহ-সভাপতি অনুভূতি অ্যাগনেস, সাধারণ সম্পাদক অবধেশ কুমার ও যুগ্ম সম্পাদক সরফরাজ হামিদ। চার জনই আইসা-র। কাউন্সিলর পর্যায়ের ২৬টি আসনের মধ্যেও ১৪টিতে জিতেছে আইসা।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথম সমকামী প্রার্থী, এসএফআই-এর গৌরব ঘোষ ৫৯৯ ভোট পেয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকেই জেএনইউ-এ বিপর্যয়ের মুখে এসএফআই। তবে গত বার একেবারে ধুলিসাৎ হওয়ার পরে এ বার তাদের ভোট কিছুটা হলেও বেড়েছে। স্কুল অফ সোস্যাল সায়েন্সে দু’টি পদে জয়ী আইসা-র চেয়ে তারা মাত্র দুই ও তিন ভোট কম পেয়েছে। ছাত্র সংগঠনকে অভিনন্দন জানিয়ে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছেন, “নবীন প্রজন্মের মধ্যে বিজেপি যে মোদী-ম্যাজিক চালাতে চাইছে, তার সমুচিত জবাব এই নির্বাচনে মিলেছে! কংগ্রেস এবং বিজেপি-র বাইরে বিকল্প নীতির জন্য যুবদের আকাঙ্খাই এই ফলে প্রতিফলিত।” |
|
|
|
|
|