কলকাতা পুলিশের এলাকায় রমরমিয়ে চলছে চোলাই ব্যবসা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহালার জ্যোতিষ রায় রোড সংলগ্ন পাওয়ার হাউস বস্তিতে ৪টি চোলাইয়ের দোকান চলছে। বেহালা থানার পুলিশ ঘটনার কথা মানতে না চাইলেও স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার মুখ্য সচেতক তৃণমূলের শৈলেন দাশগুপ্ত তা অস্বীকার করেননি। সোমবার সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ে। অভিযোগ, চোলাই খেয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অবিলম্বে চোলাইয়ের দোকান বন্ধের দাবি তোলেন বাসিন্দারা। মৃত ব্যক্তির নাম ভরত সাউ (৪৫)। লরিতে খালাসির কাজ করতেন তিনি। পুলিশেরও অনুমান, অত্যধিক মদ্যপানের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ভরতবাবুর।
কলকাতা পুরসভার ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস বস্তিতে প্রায় ৬০০ লোকের বাস। এলাকাটি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভার মধ্যেই। তিনি বলেন, “বস্তিতে চোলাইয়ের দোকান থাকলে তা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। কে, কোথায় কী করছে সব জানা সম্ভব নয়। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলব।” পাশেই থাকেন মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ। তিনি বলেন, “দীর্ঘকাল এখানে চোলাই ব্যবসা চলত। মাঝখানে পুলিশের সাহায্যে বন্ধ হয়েছিল। ফের তা চালু হয়েছে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশকে ‘সন্তুষ্ট’ করেই এই ব্যবসা চলছে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, কলকাতায় কোথাও চোলাইয়ের দোকান নেই। পুলিশের বক্তব্যকে আমল দিতে রাজি নন খোদ কাউন্সিলরই। এ দিন সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর জানতেনই না শৈলেনবাবু। তিনি বলেন, “চোলাইয়ের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য পুলিশকে বহু বার বলেছি। ওঁরা আমার কথা শোনেন না।” |