সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকায় ‘কার-সাফারি’ চালু না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ পর্যটন সংস্থাগুলি। গত বছর ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট দেশের সব ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকায় পর্যটকদের সাফারির অনুমতির নির্দেশ দেন। নির্দেশে বলা হয় ২০ শতাংশ কোর এলাকায় পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে। এই নির্দেশের প্রায় এক বছর পরেও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প সাফারি শুরু করতে পারেনি বলে পর্যটন সংস্থার অভিযোগ। সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে গেলেও বক্সার কোর এলাকায় ‘কার-সাফারি’ নিয়ে এবারেও অনিশ্চিয়তা রয়ে গেল বলে মনে করছে পর্যটন সংস্থাগুলি।
রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ মেনে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য দিল্লিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। |
অন্য অভয়ারণ্যগুলি সোমবার থেকে খুলে গেলেও প্রবেশ
নিষেধ বক্সার কোর এলাকায়। ছবি তুলেছেন নারায়ণ দে। |
আশা করছি দ্রুত কোর এলাকায় পর্যটকদের ডোকার অনুমতি দেওয়া সম্ভব হবে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা জেভি ভাস্কর বলেন, “কোর এলাকার মধ্যে জয়ন্তীর ২৬ মাইল, ২৭ মাইল, ভুটান ঘাট, ২৩ মাইলের কিছু অংশ ও নারারথলি এলাকায় পর্যটক ঢোকার অনুমতির জন্য, জাতীয় বাঘ সংরক্ষন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পুজোর আগে বা পরে যে কোনও সময় অনুমতি মিলবে বলে আমারা আশাবাদী। আমাদের তরফ থেকে সব রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৭৬১ বগর্র্কিমি এলাকার মধ্যে ৩৯০ বর্গকিমি এলাকা কোর বলে চিহ্নিত। এত দিন কোর এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশের এত দিন অনুমতি ছিল না। ইর্স্টান ডুয়ার্স রিসর্ট ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রামকুমার লামা ও পার্থসারথি রায়রা অভিযোগ করে বলেন, “বক্সা বন দফতর বিষয়টি নিয়ে সে ভাবে উদ্যোগ নেয়নি। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের এক বছর পরেও কোর এলাকায় সাফারি নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়ে গেল।”
জয়ন্তী টুরিস্ট গাইড ইউনিয়নের সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্রায় এক বছর হতে চললেও বন দফতরের পদস্থ কর্তাদের যথাযথ উদ্যোগের অভাবেই এই বছর পর্যটন মরসুমের শুরুতেও কোর এলাকায় প্রবেশের অনুমতি মিলল না। ফলে পর্যটকেরাই বঞ্চিত হবেন।” যদিও, বন দফতরের পক্ষ থেকে জয়ন্তীর কোর এলাকায় প্রবেশের জন্য মাস কয়েক আগেই তোরণও বানানো হয়েছে। |