মার্কিন নৌসেনা দফতরে হানা, নিহত ১২
কাল আটটা কুড়ি। আর পাঁচটা দিনের মতোই কর্মব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছিল ওয়াশিংটনের নৌসেনা দফতরে। হঠাৎই পরপর গুলির শব্দ। বন্দুকবাজের গুলিবর্ষণে প্রাণ হারালেন অন্তত বারো জন। আহত দুই পুলিশ অফিসার-সহ ১০।
প্রায় ৩০০০ মানুষের কর্মস্থলে বন্দুকবাজের এই আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নৌসেনা ঘাঁটির আশপাশে তখন কাতারে কাতারে গাড়ি, বাজছে বিপদঘণ্টি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত দু’জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে তাদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর বন্দুকবাজকে নৌসেনা দফতরের এক ভবনের তৃতীয় এবং চতুর্থ তলের মাঝখানে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তবে আচমকা এই গুলিচালনার কারণ নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
নৌসেনা দফতরের ছাদ থেকে তোলা হচ্ছে আহতকে। ছবি: রয়টার্স।
আহত ও নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়েও রয়েছে ধন্দ। তবে সব পেরিয়ে প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে আতঙ্ক। প্রথমত প্রকাশ্য দিবালোকে কর্মব্যস্ততার সময়ে মার্কিন নৌসেনার এমন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে গুলিবর্ষণ প্রশ্ন তুলছে চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে। দ্বিতীয়ত, মাত্র আড়াই মাইল দূরেই হোয়াইট হাউস। কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ওই এলাকায় এই ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা ভেবে হতভম্ব সাধারণ মানুষ। সকাল বেলা এই হামলা চলায় এ দিন আশপাশের এলাকায় তৈরি হয় ব্যাপক যানজট। তার মধ্যেই এলাকাটি ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তার পরেই শুরু হয় কপ্টারের ওড়াউড়ি। বহুতলের ছাদে কপ্টার থেকে কখনও নামানো হয় স্ট্রেচার। পাশে তখন উদ্ধারকারী গাড়ির ছড়াছড়ি। তার মধ্যেই জটলা করছেন নিত্যযাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী টেরি ডারহ্যাম বললেন, “গুলির শব্দে সবাই এ দিক ও দিক পালাচ্ছিলাম। তখনই বন্দুক হাতে এক দুষ্কৃতীকে দেখতে পাই। কালো চামড়ার, টাক মাথা একটা লোক।”
ঘটনার সময়েই টুইট করেছেন অফিসে আটকে পড়া কর্মচারীরা। এক জন জানিয়েছেন, তিনি পাঁচ তলায় আটকে রয়েছেন। চার তলায় গুলি চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ওই নৌসেনা ঘাঁটির তরফে ক্যাপ্টেন এড বুকলাটিনও টুইট করেছেন, “চার জন নিহত এবং আট জন আহত হয়েছেন।”
হামলার পরেই আশপাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। নিকটবর্তী রেগন জাতীয় বিমানবন্দরের কয়েকটি বিমানের উড়ানও সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে এক অফিসার জানিয়েছেন, ওই নৌসেনা ঘাঁটিতে প্রায় ৩ হাজার সেনা কাজ করতেন। মূলত যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র বানানো ও কেনার কাজ হত ওই ঘাঁটিতে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, “সামরিক দফতরে এই হামলা কাপুরুষদের কাজ।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.