বাগান দেখভালের বদলে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল চত্বরে এক সংস্থাকে হোর্ডিং ভাড়ার পরিকাঠামো তৈরি করে ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর এ নিয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের মধ্যেই। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। শাসক দলের নেতাদের অনেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তৃণমূলের অন্দরে বিষয়টিকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলের কয়েকজন নেতার অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে দলের একাংশের ভূমিকাও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে তাঁরা মনে করেন। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য হাসপাতাল চত্বরে ব্যবসার অনুমতি দেওয়ার ঘটনা ‘অনৈতিক’ বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “হাসপাতালের তরফে ওই কাজ করা হলে তা অনৈতিক। ছোট দুটি বাগান তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই দেখা উচিত। তার জন্য বেসরকারি সংস্থাকে হাসপাতাল চত্বরে ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হলে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে বাসিন্দাদের মনে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দুটি বাগান পরিচর্যায় উৎসাহী কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি রোগী ক্যলাণ সমিতির বৈঠকেই ঠিক হয়। তবে তার বিনিময়ে হাসপাতাল চত্বরে হোর্ডিং ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা চালাতে দেওয়া হবে এমন সিদ্ধান্ত রোগী ক্যলাণ সমিতির বৈঠকে জানানো হয়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “রোগী কল্যাণ সমিতি বৈঠকে বাগান দুটি পরিচর্যায় কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে বিস্তারিত কী করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুরসভাও কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছে। ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা পুরসভার তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলবেন বলে জানান। কারণ শহরে কোনও সংস্থা হোর্ডিং লাগালে নিয়ম মেনে পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। তাদের ফি দিতে হয়। সে সব কিছুই মানা হচ্ছে না। আজ, সোমবার পূর্ত দফতরের ইন্সপেকশন বাংলোয় স্বাস্থ্য কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয় কিনা সেটাই দেখার।
|